ভারত মহাসাগর থেকে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ এবং এর নাবিকদের মুক্তি দিতে কেউ এখনো মুক্তিপণ চেয়ে যোগাযোগ করেনি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাহাজের নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে কৌশল নির্ধারণে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাহাজের অবস্থান সম্পর্কে সচিব খুরশেদ আলম বলেন, আমাদের কাছে যতটুকু তথ্য আছে তাতে এটা পরিষ্কার যে, এই জাহাজটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সীমানা দিয়ে যায়নি। জলদস্যুরা আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিল। জাহাজটি দখলে নেওয়ার পর তারা সেটি নিয়ে সোমালিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। আজ ভোর নাগাদ সোমালিয়ার কাছাকাছি নোঙর করেছে জাহাজটি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দস্যুদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি কোনো যোগাযোগ হয়নি। তারাও যোগাযোগ করেনি। তাদের কী দাবি-দাওয়া, সে বিষয়ে আমরা এখনো কিছু জানি না। তারা কোনো মুক্তিপণও দাবি করেনি।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এর পর গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে। জাহাজের ২৩ নাবিককে স্পিডবোটে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন একজন।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার। আক্রান্ত নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।
জাহাজটি ছাড়িয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে এসআর শিপিং। এ জন্য সরকার ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
এসআর শিপিংয়ের মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সব সংস্থার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা আমাদের কাজ পরিচালনা করছি। তারা আমাদের যেভাবে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]