মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে প্রশ্ন উঠায় যাচাই–বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।
এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দু’দফা যাচাই-বাছাই করে ২ হাজার ৮৩৪ জনের নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশ এসেছে।
রোববার (১৪ মার্চ) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালক জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, যাচাই–বাছাইয়ে ১৬ হাজার ৬৯১ জনের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ পেয়েছেন জামুকা। আর নাম বাদ দিতে সুপারিশ এসেছে ২ হাজার ৮৩৪ জনের। অন্যদের বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিবেদন আসেনি বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, দেশের ৩৭৬টি উপজেলায় যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি আছে এখনো ১১৪ উপজেলা। এ সকল জেলার প্রতিবেদন নিয়ে আজ রোববার (১৪ মার্চ) জামুকার বৈঠকে একটি সিদ্ধান্ত হতে পারে।
এর আগে আইনের সুপারিশ ছাড়াই জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ২০০২ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৩৯ হাজার ২৪৫ জনের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ‘বেসামরিক গেজেট’ এ অন্তর্ভুক্ত করেছিল। কিন্তু তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে পরবর্তীতে প্রশ্ন উঠলে যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখতে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ২০০২ সালে জামুকা আইন পাস হয়। এতে বলা হয়, ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন, সনদ ও প্রত্যয়নপত্র প্রদানে এবং জাল ও ভুয়া সনদ ও প্রত্যয়নপত্র বাতিলের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠাতে পারবে জামুকা।’
‘বেসামরিক গেজেট’ এ অন্তর্ভুক্ত ৩৯ হাজার ২৪৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে এক হাজার ৬৩১ জন রয়েছেন বিভিন্ন বাহিনীর।
জামুকা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৩ মার্চ) পর্যন্ত গোপালগঞ্জে ২৬১ জন, ঢাকায় ২৪৫, মেহেরপুরে ১৪১, রাজশাহীতে ১২৮, বরগুনায় ১২৫, ফরিদপুরে ১০৪, চাঁদপুরে ১৪২, নরসিংদীতে ৫৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫০, মাদারীপুরে ৪৮, কুমিল্লায় ৩৪, মানিকগঞ্জে ২১ জনসহ অন্যান্য জেলা মিলিয়ে মোট ২ হাজার ৮৩৪ জনকে বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে রাঙামাটি ও নোয়াখালীর কোনো উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের নাম যাচাই–বাছাইয়ে বাদ পড়েনি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]