মোংলা বন্দরে পানামা পতাকাবাহী হ্যান্ডিপার্ক নামের জাহাজের ধাক্কায় এমভি ফারদিন-১ নামের কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিখোঁজ রয়েছে ৫ নাবিক।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বন্দরের হারবাড়িায়ার-৯ নম্বর বয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কার্গো জাহাজে থাকা ৭ নাবিকের মধ্যে দুই জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ৫ জন নিখোঁজ হয়। বন্দরের ৯ নম্বর এ্যাংকরে বযার বিদেশি জাহাজ থেকে কয়লা বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিল কার্গো জাহাজটি।
মোংলা লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের মোংলা শাখার সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন মিন্টু বলেন, কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের ২০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ বন্দরের হাড়বাড়ীয় এলাকার ৯ নম্বর এ্যাংকরে বয়ায় অবস্থান নেয়। সেই জাহাজ থেকে সোমবার রাতে ৬০০ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে কার্গো জাহাজ এম ভি ফারদিন-১। কয়লা বোঝাই শেষে ওই বিদেশি জাহাজ ছেড়ে কিছু দূরে যেতে না যেতেই অপর একটি বিদেশি জাহাজের সাথে কার্গোটির ধাক্কা লাগে। এতে নদীর প্রচণ্ড স্রোতে কার্গোটি সেখানে ডুবে যায়।
কার্গোতে থাকা স্টাফদের মধ্যে ৩ জন নিরাপত্তা কর্মী ও দুইজন স্টাফ নিখোঁজ রয়েছে। বাকি দুই জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধি মো. আশিকুর রহমান বলেন, কার্গোটির কয়লা নিয়ে ঢাকার মিরপুরের গাবতলীতে যাওয়ার কথা ছিল। কার্গো জাহাজটি হাড়বাড়ীয়ার ৮ ও ৯ নম্বর এ্যাংকোরেজের মাঝামাঝি এলাকায় ডুবেছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া ডুবন্ত কার্গোতে থাকা ৫ নাবিক নিখোঁজ, তাদের সন্ধানে ভোর থেকেই উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দিন বলেন, জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া নৌযানটি মূল চ্যানেলের পূর্ব পাশে ডুবেছে, এতে বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজ আসা-যাওয়ায় কোন সমস্যা হচ্ছে না। বন্দরের মূল চ্যানেল ঝুঁকি মুক্ত রয়েছে, তার পরেও ডুবন্ত নৌযান উদ্ধারে কোস্টগার্ডের সঙ্গে সহায়তা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]