যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে কপোতাক্ষ নদে ডুবে মলি খাতুন (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে স্বজনরা ওই নারীর লাশ নদের পানিতে ভাসতে দেখেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নদে হাঁস খুঁজতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
জানাযায়, মলি খাতুন মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের মশ্মিমনগর ইউনিয়নের নোয়ালী গ্রামের আখিরুল ইসলামের স্ত্রী। মশ্মিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজব আলী বলেন, কপোতাক্ষ পাড়ে বাড়ি হওয়ায় আমাদের অঞ্চলের নারীরা হাঁস পালন করেন। মলি খাতুনের ৩-৪টি হাঁস কদিন ধরে নিখোঁজ ছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নদের ওপারে হাঁস দেখতে পেয়ে পানি সাঁতরে হাঁস আনতে যান মলি খাতুন। পরে আর বাড়ি না ফেরায় রাতভর নদে তাঁর সন্ধান চলে। রাতে খবর পেয়ে রাজগঞ্জ ক্যাম্প থেকে পুলিশ আসে। কিন্তু ওই নারীকে পাওয়া যায়নি।
মেম্বর আজব আলী বলেন, শুক্রবার সকালে বাড়ির অদূরে গৃহবধূর লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্বজনরা। কপোতাক্ষ নদে শেওলায় ভরা। ধারণা করা হচ্ছে, সাঁতরে যাওয়ার সময় শেওলায় আটকে ডুবে মলি খাতুনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বানী ইসরাইল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোন অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের অনুরোধে গৃহবধূর লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]