বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে সফলতা আনতে অনেকে ঝুঁকছেন মাছ চাষে। আর চাষ করে অনেকে সফল হচ্ছেন আর তাই মাছ চাষির সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে ভাইরাসমুক্ত ও সুস্থ পোনা না পাওয়া গেলে মাছ চাষে সফলতা আসে না। কিন্তু সাদা মাছের পোনা সরবাহের ক্ষেত্রে যশোরের সরকারি, বেসরকারি মাছের পোনার বেশ সুনাম রয়েছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরা জেলায় প্রচুর পরিমান যশোর থেকে মাছের ডিম, রেনুপোনা, চালাই মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
যার মধ্যে জি-৩ রুই, মৃগেল, কাতলা, গ্রাসকার্প, পাঙ্গাস, পাবদা, শিং, মনোসেক্স তেলাপিয়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। দ্রুতবর্ধনশীল এসব মাছ কয়েক মাসের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। যা বিক্রি করে মোটা অংকের মুনফা পাচ্ছেন ব্যাবসায়ীরা।
তবে বর্তমানে সাড়া ফেলেছে জি-৩ রুই। ‘জেনেটিক্যালি ইম্প্রুভড’ রুই মাছের এই জাতটি ‘ওয়ার্ল্ড ফিশ’ উদ্ভাবিত। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ফিশ’ বাংলাদেশে ২০১২ সালে রুই মাছের একটি উন্নত জাত উদ্ভাবনের উদ্যোগ নেয়। যা প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের পর সর্বশেষ তৃতীয় প্রজন্ম বা জি-৩ জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।
এদিকে সাদা মাছ চাষি রব্বানী দফাদার জানান, আমি ধান, পাটসহ বিভিন্ন চাষাবাদ করে থাকি। পাশাপাশি মাছ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছি। আমরা যশোর চাঁচড়া মোড়ের সাঈদ মৎস্য খামার থেকে মাছের পোনা সংগ্রহ করি। ওই খামারের মাছের পোনাগুলোর মান খুবই ভালো। আমরা চাষিরা ওই খামারের মাছ নিয়ে সফলতা পাচ্ছি।
মাছ চাষি রবিউল জানান, যশোর এলাকার মাছের ব্যাপক সুনাম রয়েছে। আমরা বহুদিন থেকে যশোর এলাকার মাছের পোনা সংগ্রহ করি তা বড় করে লাভবান হই।
যশোরের সাঈদ মৎস্য খামারের পোনা বিক্রেতা রাহুল জানান, যশোর চাঁচড়া মোড়ে অবস্থিত সরকারি মাছের পোনা বিক্রি কেন্দ্রের পাশে সাঈদ মৎস্য খামারটি থেকে আমরা প্রতিদিন কোটি কোটি মাছের পোনা বিক্রি করে থাকি। যা চাষ করে চাষিরা লাভবান হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য হল কাস্টমদের হাতে ভাল পোনাটি তুলে দেওয়া। আর তাই সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]