যশোরের মণিরামপুরের মেসকাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহীন হোসেনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। একই সাথে উদ্ধার করেছে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু ও চেতনানাশক ওষুধ। আটক শাহীন শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার বাসিন্দা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে। শাহীন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে হত্যার বর্ণনাও দিয়েছে।
ডিবি পুলিশের ওসি রম্নপন কুমার সরকার বলেন- গত ২রা মে মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ধানক্ষেত থেকে মেসকাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ডিবির অভিযানে এ ঘটনার নেপথ্যে থাকা রিক্তা পারভিন ও হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী মেসকাতের পরকিয়া প্রেমিকা প্রবাসী নাজমার বাবা নিজাম সরদার আটক হয়।
আটকের পর তারা জানায়- নাজমা বিদেশ থেকে মেসকাতকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। আর ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে শাহীন হোসেনকে দুই লাখ টাকায় চুক্তি করে। এরপর থেকে মামলার তদšত্ম কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম, শাহীনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখে। রোববার দুপুরে শাহীনের অবস্থান শনাক্ত করে শংকরপুর এলাকা থেকে শাহীনকে আটক করা হয়। পরে ওই এলাকা থেকেই তার দেখানো হত্যায় ব্যবহৃত চাকু ও চেতনানাশক ওষুধ উদ্বার করা হয়। এসআই মফিজুল ইসলাম জানান- মূলত দুই লাখ টাকার চুক্তিতেই মেসকাতকে হত্যা করেছে শাহীন হোসেন। এরমধ্যে ১০ হাজার টাকা তিনি পেয়েছে। শাহীন ভাড়াটিয়া কিলার। সে মুড়লির সোহেল হত্যা ও রাজগঞ্জের রাসেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। উলেস্নখ্য- মেসকাত যশোর সদর উপজেলার পদ্মবিলায় ইলা অটো রাইস মিলের শ্রমিক ছিলেন। মিলের আরেক কর্মচারী সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের নাজমার সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক হয়। স্বামী পরিত্যক্তা নাজমা বর্তমানে সৌদি প্রবাসী। মেসকাতের স্ত্রী জুলেখা পরকীয়া প্রেমিকা নাজমাকে মোবাইলে গালমন্দ করাকে কেন্দ্র করে নাজমা বিদেশ থেকে কারাগারে আটক আসামি রিক্তা পারভীনের সাথে দুই লাখ টাকায় মেসকাতকে হত্যার চুক্তি করে। পরে রিক্তা তার পরকিয়া প্রেমিক শাহীন ড্রাইভারের মাধ্যমে কৌশলে সাতক্ষীরার আশাশুনি বুধহাটায় ডেকে নিয়ে পথিমধ্যে চেতনানাশক খাইয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ মণিরামপুরের রাজগঞ্জের একটি ধানক্ষেতে ফেলে দেয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]