অসুস্থ হলেই আমরা ছুটে যাই হাসপাতালে। ভরসা খুঁজি একজন চিকিসকের। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসার নামে রোগীদের হয়রানি করা হয়। যশোরের আদ-দ্বীন সাকিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলছে রমরমা অপারেশন ব্যবসা। সাধারণ রোগী নিয়ে যাওয়া হলো তাদের দেওয়া হয় না পরিপূর্ণ সেবা। তবে অপারেশন করানো হবে শুনলে কদর দ্বিগুন বেড়ে যায় হাসপাতাল কর্তপক্ষের। কিন্তু নরমাল ডেলিভারির কথা বললে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন সেবামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।
যশোরের কেবশপুর উপজলোর বাসিন্দা মো. কাওছার হোসেনের শশুর বাড়ির আত্মীয়স্বজনরা গত ১৫ জুলাই তার অন্তঃসত্তা স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে জানানো হয় অনেক দেরি হয়ে গেছে। এখন অপারেশন করাতে হবে। এখানেই শেষ নয়, হাসপাতালের নির্ধারিত রেট চার্টে অপারেশনসহ ওষুধের কথা উলেখ থাকলেও অপারেশনের পূর্বে ও পরে আলাদাভাবে ওষুধ কিনতে হয়। এরপর ধরিয়ে দেওয়া হয় অতিরিক্ত বিল, এমনটি অভিযোগ করেন তিনি।
মোঃ কাওছার হোসেন অভিযোগ করে আমাদের এ প্রতিবেদককে জানান, গত ১৫ জুলাই আমার স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে আমার খালা শ্বাশুড়ি সাথে আরও কয়েকজন মিলে যশোর আদ-দ্বীন সাকিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রথম দিকে হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি করানোর কথা জানালে তাদের কোন প্রকার সেবামূলক সাড়া পাওয়া যায় না। এক প্রকার অনিহা প্রকাশ করে হাসপাতাল কর্মচারী-কতৃপক্ষ। এদিকে আমার স্ত্রী প্রসব যন্ত্রণায় চিৎকার শুর“ করে। এ অবস্থায় আমার শাশুড়ির মোবাইলের মাধ্যমে আমি কথা বলতে চাইলে দায়িত্বরত হাসপাতাল কর্মচারী-কর্তৃপক্ষ কথা বলতে নারাজ হন। কিন্তু আমার শাশুড়ির অনেক অনুরোধের ভিত্তিতে পরে আমার সাথে কথা হলে সিজার (অপারেশন) করতে হবে বলে আমাকে জানানো হয়। আমি কোনো দিক বিবেচনা না করে তাদের কথায় রাজি হই এবং অপারেশনের ব্যবস্থা করতে বলি। যখন তাদের কথামতো অপারেশন করাতে রাজি হই তখন সবাই সাহায্য করতে এগিয়ে আসে।
তিনি বলেন, তারা কসমেটিক্স সেলাই এবং ওষুধ বাবদ দশ হাজার টাকা খরচ হবে বলে জানান। কিন্তু গত ১৮ জুলাই আমার হাতে দুইটি বিলের কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম বিলের কাগজে হিসেব দিয়েছে ১১ হাজার ৩শত টাকা অপর একটি বিলের কাগজে বিল আসে ১১ হাজার ৬৫০ টাকা। অথচ তাদের রেট চার্টে উলেখিত মূল্য তালিকা অনুযায়ী খরচ হওয়ার কথা ১০ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, অপারেশনে প্রবেশের সময় আমার শ্বাশুড়ি কিছু ওষুধ কিনে দেয় এবং আমি নিজেও প্রায় ২৫শ টাকার ওষুধ কিনে দেই। অথচ তাদের কথা ছিলো অপারেশন ওষুধসহ দশ হাজার টাকা। এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের ম্যানেজার মুজাহিদ এর সাথে কথা হলে তিনি যথাযত যুক্তি দেখাতে পারেনি। তাদের হাসপাতালের প্যাকেজ অনুযায়ি অপারেশন থিয়েটারে আপনারা কী কী ওষুধ ব্যবহার করেছেন তার একটা লিষ্ট আমাকে দিন এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যানেজার আপত্তি দেখিয়ে বলে এটা তাদের হাসপাতালের নিয়মে পড়ে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু শাহিন প্রবাসীর দিগন্তের এ প্রতিবেদককে জানান, আমি বর্তমান করোনা পজেটিভ হয়ে আইসোলেশনে আছি। অভিযোগ তদন্তকরে দেখবো। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]