যশোরের মনিরামপুরে স্মরণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের পেছনে একটি পরিত্যক্ত স্কুলব্যাগ থেকে ১৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। রোববার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্কুলব্যাগ ভর্তি টাকা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- স্মরণপুর গ্রামের গ্রামপুলিশ রমজান আলীর ছেলে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর বিক্রয়কর্মী সোবহান আলী (২৮), একই গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে অপর বিক্রয়কর্মী জুবায়ের হোসেন ও ফুরকান আলীর ছেলে আজাদ (২৫)। বাকিদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উদ্ধার টাকাগুলো ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোর ঝিকরগাছা শাখা দপ্তরের। গতকাল শনিবার রাতে দপ্তরটির তালা ভেঙে ২৬ লাখ টাকা ছিনতাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই কোম্পানির শাখা ব্যবস্থাপকসহ ছয় কর্মীকে রাতেই আটক করেছে ঝিকরগাছা থানার পুলিশ। আজ সকালে আরও দুজনসহ মোট আটজনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্মরণপুর গ্রামের গ্রামপুলিশ রমজান আলী বলেন, আজ সকালে স্মরণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের পেছনে স্কুলব্যাগ ভর্তি টাকা পাওয়া যায়। পরে ঝিকরগাছা থানার পুলিশ ও মনিরামপুরের খেদাপাড়া ক্যাম্পের পুলিশ এসে লোকজনের সামনে গুনে দেখে ব্যাগে ১৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা রয়েছে। উদ্ধারকৃত ব্যাগের খবর প্রথমে পুলিশকে মোবাইল ফোনে জানান স্কুলের পাশের বাড়ির জুবায়ের। পরে এলাকার লোকজন টাকা পাওয়ার কথা শুনে সেখানে জড়ো হয়। এ সময় গ্রামের আজাদ নামে এক যুবক তিন বান্ডিল (২ লাখ) টাকা নিয়ে দৌড় দেন। পরে গ্রামের লোকজন তাঁকে তাড়া করে সেই টাকা উদ্ধার করেন।
রমজান আলী আরও বলেন, ‘আমার ছেলে সোবহান ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোর ঝিকরগাছা শাখা দপ্তরে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন। গতকাল রাতে আমার ছেলেসহ অন্যরা দপ্তরে কাজ করছিল। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দপ্তর থেকে ২৬ লাখ টাকা ছিনতাই হয়ে যায়। এ খবর পেয়ে রাতে পুলিশ আমার ছেলেসহ অফিসের ছয়জনকে আটক করেছে।’
শুধু তাই নয়, আমাদের গ্রামের জুবায়ের নামে একটা ছেলে ওই দপ্তরে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন। গত দুই-তিন দিন কাজে যাননি তিনি। আজ সকালে তারই বাড়ির পাশে টাকার ব্যাগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, জুবায়ের ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। টাকা লুকাতে না পেরে স্কুলের পেছনে টাকা ফেলে রেখে পুলিশে খবর দিয়েছেন।
খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সমেন বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটি ঝিকরগাছা থানার অন্তর্ভুক্ত। আজ সকালে তারা এসে টাকা উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। আমি তাদের সহযোগিতা করেছি।
ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ‘টাকা গণনার কাজ চলছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে হেফাজতে নিয়েছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]