যশোরের অভয়নগরে অগ্নিকাণ্ডে আটটি কুটির শিল্পকারখানা পুড়ে গেছে। এতে আনুমানিক ৩২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) মাঝরাতে উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের পরীবাড়ী মাজার সংলগ্ন আজাদ সমিলে এ ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে কামাল হোসেনের কুটির শিল্পকারখানায় প্রথম আগুন জ্বলতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশরাফুল ইসলাম শফিকের, সালমান কাজীর, হাদিউজ্জামানের, মোশারফ হোসেনের, বিকাশ দাসের, সেলিম খন্দকারের ও রফিকুল ইসলামের কুটিরশিল্পে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই কারখানাগুলোতে কাঠের তৈরি হস্তশিল্প, তৈজসপত্র ইত্যাদি তৈরি করা হতো।
ক্ষতিগ্রস্ত কুটিরশিল্প মালিকরা জানান, পাশাপাশি আটটি কুটির শিল্পকারখানা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। কারখানার ভেতরে থাকা মেশিন ও সব ধরনের মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আনুমানিক ৩২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই আগুন তাদের ঈদ আনন্দ শেষ করে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কুটির শিল্প মালিকরা সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আজাদ স’মিলের মালিক সাজ্জাদ হোসেন জানান, তার সমিলের জমিতে পাশাপাশি থাকা আটটি কুটির শিল্পকারখানা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের প্রায় ৩২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কুটিরশিল্প মালিকরা বিভিন্ন এনজিও এবং সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে কারখানা করেছিলেন। তারা এখন নিঃস্ব ও নির্বাক হয়ে গেছেন।
নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার টিটব শিকদার জানান, শুক্রবার রাত আনুমানিক সোয়া ১টার সময় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
তিনি আরও বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]