বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণে অবস্থিত ফাতিমাতুজ্জোহরা ক্বওমি মহিলা মাদ্রাসা নামে একটি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেয়েদের শয়নকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের অভিযোগের পর স্থানীয় প্রশাসন ও ক্বওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের যৌথ সিদ্ধান্তে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে মাদ্রাসাটি বন্ধের পাশাপাশি শনিবার (১২ এপ্রিল) এর মধ্যে সব ছাত্রীকে পরিবারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ক্বওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ভবিষ্যতে মাদ্রাসাটির অবস্থান নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, বৈঠকে ক্বওমি মাদ্রাসা বোর্ডের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল কামির যশোরীসহ ৩০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা তরিকুল ইসলাম ঘটনায় নিজের ভুল স্বীকার করে লিখিত ব্যাখ্যা দেন।
গত বুধবার (৯ এপ্রিল) অভিভাবকের অভিযোগের পর পুলিশ মেয়েদের হোস্টেল থেকে দুটি সিসি ক্যামেরাসহ মোট ১৬টি ক্যামেরা জব্দ করে। নাভারণ সার্কেলের পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, সিসি ক্যামেরার সংরক্ষিত ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পযর্ন্ত মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ক্বওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে এখন থেকে কোনো মেয়েদের মাদ্রাসায় সিসি ক্যামেরা ব্যবহার না করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]