রাজু আহম্মদ, খোরদো (কলারোয়া, সাতক্ষীরা): সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার খোরদো বাজার গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবসায়রিক কেন্দ্র। যশোর বাস টার্মিনাল থেকে খোরদো বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে (পুলের হাট রাজগঞ্জ হয়ে) ২০১০ সাল থেকে নিয়োমিত বাস চলাচল করতো। এমনকি পূর্বেও রোডটিতে শীতকালে বাস চলাচল করতো। সেসময় যাত্রীর চাপ বৃদ্ধির কারণে প্রতি ৪০ মিনিট পর পর এখান থেকে নিয়োমিত বাস চলাচল করতো। বর্তমানে বাস সেবাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদেরকে অটো, মোটরসাইকেল যোগে রাজগঞ্জ পর্যন্ত যেয়ে বাসে উঠতে হচ্ছে। এতে করে দারিদ্র অসহায় মানুষজনের বেশি টাকা খরচ হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান- ২০০৭ সাল থেকে অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পর খোরদো সেতু নির্মিত হয়, লাঘব হয় যাত্রীদের দুর্দশা।
খোরদো গ্রামের জিয়াউর রহমান জানান- বাস চলাচল করাটা খুব জরুরি। ভোর ৬টায় প্রথম টিপে চেপে অনেকে যশোর যায় ট্রেন, ঢাকার বাস কিংবা অন্যান্য যানবাহন ধরতে। আবার সন্ধ্যা ৭টায় শেষ বাস চেপে অনেকে যশোর যায় ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে কর্মময় স্থানে পৌঁছাতে।
উলুডাঙ্গা গ্রামের রাসান সামিন জানান- কলারোয়ার খোরদো, দেয়াড়া, দলুইপুর, উলুডাঙ্গা, পাটুলিয়া, কুশোডাঙ্গা, শাকদাহ, কলাটুপি, ছলিমপুর, রায়টা, কামারালী, তালুন্দি আর যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার চাকলা, কাঁঠালতলা, মশ্মিমনগর, নোয়ালী, খাজুরা, বাদামতলা, রামপুর, বৃহত্তর রাজগঞ্জ অঞ্চলের মানুষ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান- যশোরের মোকাম থেকে পাইকারি দামে জিনিসপত্র কিনে বাসে নিয়ে এলে যে খরচ পড়তো এখন তার চেয়ে অনেক বেশি খরচ হচ্ছে।
সব মিলে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, অচিরেই বাস চলাচল শুরু হোক পথটিতে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]