ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তার মধ্যে ফোরডোর মাটির নীচের পরমাণুকেন্দ্রটিতে অন্তত ছ’টি ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা ফেলা হয়েছে বলে দাবি। রোববার (২২ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌন ৬টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসিও তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় সফলভাবে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলো হলো ফর্দ, নাতানঞ্জ এবং ইস্পাহান। হামলায় অংশ নেওয়া সব বিমান এখন ইরানি আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।
ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা- ফোর্দো, নাতানঞ্জ এবং ইস্পাহানে আমাদের অত্যন্ত সফল হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।
এদিকে ঘটনাচক্রে, আমেরিকার হামলার ঠিক আগেই কিছু তৎপরতা লক্ষ করা গিয়েছিল ইরানের ফর্দ ওই পরমাণুকেন্দ্রে। প্রকাশ্যে এল তারই উপগ্রহচিত্র।
স্যাটেলাইট সংস্থা ‘ম্যাকসার’-এর এক বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ জানিয়েছে, আমেরিকার হামলার দু’দিন আগেই কিছু অস্বাভাবিক তৎপরতা লক্ষ করা গিয়েছিল ফর্দ পরমাণুকেন্দ্রে। পরমাণুকেন্দ্রটির যে জায়গায় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, সেই রাস্তায় ১৬টি মালবাহী ট্রাক দেখা গিয়েছিল গত ১৯ জুন।
পরের দিনের উপগ্রহচিত্রে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি ট্রাক উত্তর-পশ্চিম দিকে আরও এক কিলোমিটার মতো সরে গিয়েছে। এর সঙ্গে আরও কয়েকটি ট্রাক এবং বুলডোজ়ার দেখা গিয়েছে পরমাণুকেন্দ্রে ঢোকার মুখে।
উপগ্রহচিত্র প্রকাশ্যে আসার পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, আমেরিকা হামলা চালাতে পারে ভেবেই কি পরমাণু প্রকল্পের জন্য জরুরি সরঞ্জাম সরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইরান? কেউ কেউ মনে করছেন, ইরান তাদের পরমাণু প্রকল্পের সরঞ্জাম যাতে কোনও অজ্ঞাত জায়গায় সরিয়ে ফেলতে না পারে, তাই দু’সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেই আচমকা ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এই দাবির আনুষ্ঠানিক সমর্থন মেলেনি আমেরিকা বা ইরানের পক্ষ থেকে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]