কোভিড মহামারীকালে যুক্তরাষ্ট্রে স্বল্প আয়ের মানুষরা সহজেই মেডিকেইড হেলথ ইন্স্যুরেন্সে নাম লিখিয়েছিল। কিন্তু প্যানডেমিক শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং অর্থনৈতিক কারণে এ বছর কংগ্রেসে যে ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যয় বরাদ্দ বাজেট পাশ হয়েছে তাতে মেডিকেইড খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। ফলে আগামী স্প্রিং থেকে কয়েক মিলিয়ন মানুষ মেডিকেইড হারাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে সিএনবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্যানডেমিকে জনবলের অভাবে এবং স্বল্প আয়ের মানুষদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর কারণে মেডিকেইড নবায়নের সময় তারা এই হেলথ ইন্স্যুরেন্স পাওয়ার যোগ্য কিনা তা যাচাই করা হয়নি। আগামী ১ এপ্রিল থেকে নবায়ন শুরু হলে, যাদের মেডিকেইড আছে, তারা সকলেই পাওয়ার যোগ্য কিনা তা যাচাই করা হবে। যারা প্রয়োজনীয় প্রমাণ দাখিল সাপেক্ষে প্রমাণ করতে সক্ষম হবে যে তারা মেডিকেইড পাওয়ার যোগ্য, কেবল তাদের মেডিকেইডই নবায়ন করা হবে। যারা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হবে, তাদের মেডিকেইড নবায়ন করা হবে না।
কংগ্রেসের উপরুক্ত ব্যয় বরাদ্দ বিলে উল্লেখ আছে, যারা প্রমাণ করতে পারবে না, স্টেট হেলথ ডিপার্টমেন্ট তাদের মেডিকেইড বাতিল করবে।
উল্লেখ্য প্যানডেমিকের সময় ৮ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ মেডিকেইড হেলথ ইন্স্যুরেন্সে নাম লিখিয়ে কার্ড পেয়েছিল। এই সংখ্যা প্যানডেমিকের আগের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। প্যানডেমিককালে ফেডারেল সরকার স্টেটগুলোকে জানিয়েছিল যোগ্যতা প্রমাণ করতে না পারলেও কাউকে মেডিকেইড দেয়া থেকে বঞ্চিত করা হবে না।
দ্য হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের হিসাব অনুযায়ী ১ এপ্রিলের পর প্রায় দেড় কোটি মানুষ মেডিকেইড হারাবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]