মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে চলছে ইরি-বোরো ধান রোপণের মৌসুম। সকাল থেকে পড়ন্ত বিকাল পর্যন্ত কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন মাঠে মাঠে। দেখাগেছে, রাজগঞ্জ এলাকায় ইরি-বোরো ধান রোপণের কাজ কোমর বেঁধেই করছেন কৃষকরা। তবে, শ্রমিক সংকট না থাকায় অনেকটাই স্বস্তিতে আছেন কৃষক ও গৃহস্থরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলা ব্যাপি হাইব্রিডসহ প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ধান রোপণের জন্য হাইব্রিডসহ ১ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য উপজেলার চেয়ে শীত ও কুয়াশায় বীজতলার তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কৃষকরা নিজেদের চাহিদা পূরণ করে আশেপাশের অঞ্চলে বোরো ধানের চারা সরবরাহ করতে পারবেন বলে জানাগেছে। চলতি মাসের মধ্যেই রাজগঞ্জ এলাকায় ধান রোপণ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামের আতাউর রহমান (৪৫), ঝাঁপা গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৪০), খালিয়া গ্রামের মোসাররফ হোসেন (৫৫), মশ্বিমনগর ইউনিয়নের কাঠালতলা গ্রামের নাজিমুদ্দিন (৫৮), চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের ইসহাক আলী (৪৮) বলেন, আমাদের জমিতে আগেভাগেই আমরা ইরি-বোরো ধান রোপন করেছি। মাঠে আরো অনেকের জমিতে এখনো ধান রোপন কার্যক্রম চলছে। কোনো সমস্যা ছাড়াই এবছর ইরি-বোরো আবাদ শুরু করেছি। শেষও হবে ভালোই ভালোই আশা করি।
ঝাঁপা ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ভগীরথ চন্দ্র বলেন, ধানই এই অঞ্চলের প্রধান ফসল। তাই আমরা সব সময় কৃষকের পাশে থেকে কৃষকদের জমি প্রস্তুতি থেকে শুরু করে আগাম পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ইরি-বোরো ধান চাষ হবে।
এ ছাড়াও আমরা কৃষকদের অধিক ফলনশীল ধান চাষের প্রতি উদ্ধুদ্ধ করে আসছি। তাই এবার কৃষকরা আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে অধিক ফলনশীল জাতের বোরো ধান করছেন। আশা করা হচ্ছে চলতি মাসের মধ্যেই রাজগঞ্জ অঞ্চলের পুরো মাঠেই ধান রোপণের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]