মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের শাহপুর ও হায়াতপুর মাঠে বছরের বারো মাসই সবজি চাষ করা হয়। এই দুই গ্রামের কৃষকেরা মাঠের পর মাঠ সবজি চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছে। শাহপুর ও হায়াতপুর গ্রামের অন্তত ৫শ’ পরিবার সবজি চাষ করে এখন সাবলম্বী।
মণিরামপুর উপজেলার পশ্চিমে রাজগঞ্জ বাজারের পাশেই শাহপুর ও হায়াতপুর সবজি চাষের মাঠ। মাঠের পর মাঠ নানা ধরণের সবজির ক্ষেত। এই বিশাল মাঠে বারো মাসই বিভিন্ন ধরণের সবজির চাষ হচ্ছে। ক্ষেতে কাজ করছে শত শত নারী-পুরুষ কৃষক।
কৃষি বিভাগ বলছেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এই মাঠে সবজি চাষিদের সব সময় উৎসাহ এবং সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে শাহপুর ও হায়াতপুর মাঠে দেখাযায়- সবজি ক্ষেতগুলোতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, ঢেঁড়স, মুলা, লাউ, শিম, বরবটি, ক্ষীরা, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো, লালশাক, পালংশাক, কলা, বেগুন, শসা, মেটেআলু, ডাটা, পটল, ঝিংগা, উচ্ছে, কারকোল, গাজর, চিচিংগা, মিঠেপুল্লা, কাঁচা ঝাল, ওলসহ বিভিন্ন ধরণের শীতের ও বারোমাসি সবজিতে ভরপুর।
এই মাঠে উত্তম কৃষি চাষের মাধ্যমে নিরাপদ ও বালাইমুক্ত সবজি উৎপাদন হচ্ছে। এখানে সবজি চাষে জৈব সারও ব্যবহার করা হয়।
কথা হয় স্থানীয় চাষি সিরাজুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন- এই মাঠের উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যশোর, খুলনা ও ঢাকার বড় বড় বাজারেও সরবরাহ করা হয়। এই মাঠে শাহপুর গ্রামের চাষি মোঃ শফিকুল ইসলাম এবার ২ বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছেন। সেই ক্ষেত থেকে এদিন তিনি ৩ মন শিম তুলে বাজারে বিক্রি করেছে। দামও ভালো পেয়ে খুব খুশি তিনি।
শাহপুর মাঠের সবজি চাষি মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ রাহাজুল ইসলাম, মোঃ সাহাজান আলী, মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ নুর ইসলাম, মোঃ হাসান আলী, মোঃ আতিয়ার রহমান, মোঃ লুৎফর রহমান এ প্রতিনিধিকে বলেন- আমরা অত্যান্ত কষ্ট করে, রোদ-বৃষ্টির মধ্যে মাঠে কাজ করে বিভিন্ন ধরণের সবজি ফলাই। সেই সবজি আমরা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলা-উপজেলা শহরে সরবরাহ করি। সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জ বাজারে বড় হাট বসে। এই দুইদিন শাহপুর ও হায়াতপুরের কৃষকরাই বেশি সবজি বিক্রির জন্য এই হাটে আনে। রাজগঞ্জ বাজার থেকে পাইকারি দরে সবজি কিনে বিভিন্ন জেলা শহরে নিয়ে যান ব্যাপারিরা।
স্থানীয় ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা এসএম মারুফুল হক ও মোঃ হাসানুজ্জামান জানান- কৃষি বিভাগ থেকে রাজগঞ্জের শাহপুর ও হায়াতপুর মাঠের সবজি চাষিদের সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া নতুন জাত ও নতুন ফসল সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে প্রর্দশনী প্লটও স্থাপন করা হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]