শ্রাবণ যায় যায়, ভাদ্র আগমন, এসময় গরম ও রোদ্রের প্রচন্ড দাপট। এই গরমের মধ্যেই রাজগঞ্জ অঞ্চলের কৃষকেরা আমন ক্ষেত পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোমর বেঁধে আমন ক্ষেতে নেমেছেন নারী-পুরুষেরা। আমনের উঁচু ক্ষেতগুলোতে পানির অভাব থাকলেও নিচু ক্ষেতে পানির অভাব তেমনটা নেই। উঁচু ক্ষেতে সেচ মেশিন দিয়ে পানি দিতে হচ্ছে। সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর- ২০২১) বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে এসব চিত্র দেখাগেছে।
আরো দেখা গেছে- আমন ক্ষেতের চারা সতেজ হয়ে মাঠের পর মাঠ এখন সবুজের সমারোহ। যেদিকেই চোখ যায় শুধু সবুজের মিলনমেলা। আমনের মাঠ যেন সবুজে ঢাকা প্রকৃতি। চারদিকের এই নয়নাভিরাম দৃশ্য কৃষকের মনে দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। এখন প্রয়োজন ভারি ও মাঝারি বৃষ্টিপাত। বৃষ্টির পানি পেলে স্বস্তি পাবে আমন ধানের উঠতি চারাগুলো। তাতে ক্ষেতের সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি পাবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার রাজগঞ্জ অঞ্চলে রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা কেউ কেউ ক্ষেতের আগাছা পরিস্কার করছে, আবার কেউ কেউ রাসায়নিক সার, কীটনাশক স্প্রে করছে। উঁচু ক্ষেতগুলোতে পানি না থাকায় মাঠ ফেটে গেছে। একারণে কৃষকেরা কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। উঁচু ক্ষেতের মালিকরা সেচের পানি দিয়ে আমন ক্ষেত ভিজায়ে রাখছেন। বৃষ্টি হলেই কৃষকের পানির চিন্তা অনেকটা কেটে যাবে।
রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামের কৃষক রমজান আলী বলেন- আমন ক্ষেতে পানি নেই, মাঠ ফেটে চৌচির। যে কারণে সেচ দিতে হচ্ছে। তবে বৃষ্টি হলেই পানির সমস্যা কেটে যেতো।
মশ্বিমনগর ইউনিয়নের কাঁঠালতলা গ্রামের আরেক কৃষক লিয়াকত আলী বলেন- পানির সমস্যা একটু আছে। নিচু আমনের ক্ষেতে এখনো কিছুটা পানি আছে। তাতে চারা গাছগুলো এখন বেশ সতেজ আছে। এখন পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত আছি।
ঝাঁপা ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ভগীরত চন্দ্র বলেন- প্রত্যেক বছর আমন মৌসুমে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রদান করা হয়। এ বছরও দেয়া হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ধান উৎপাদন হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]