ষড়ঋতু হতে সমাপ্তি ঘটলো গ্রীষ্মের। গ্রীষ্মের সমাপ্তিতে অসহনীয় গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে চারিদিক, তপ্ত গরমে নাজেহাল যশোরের মণিরামপুরের রাজগঞ্জের মানুষসহ জীব ও প্রকৃতি। উত্তপ্ত রোদের তপ্ত গরমে কাহিল হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া ও ছুটে চলা ব্যস্ত মানুষ। মাঝে মাঝে আকাশ কালো হয়ে উঠলেও দেখা নেই বৃষ্টির।
বাইরের তীব্র তাপমাত্রার হাত থেকে রক্ষা পেতে বিনা কারণে কেউ বাইরে যেতে নারাজ, তবুও জীবন-জীবিকার তাগিদে তীব্র গরমকে উপেক্ষা করেও নিম্ন আয়ের মানুষ তথা দিনমজুর, সাধারণ শ্রমিক, ভ্যান-রিক্সাচালকসহ রাস্তায় খেটে খাওয়া মানুষের থেমে নেই জীব-জীবিকার যুদ্ধ।
বাতাসে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি, স্বস্তি নেই দিনে বা রাতে, ঘরে বা বাইরে, কোথাও! দেদারছে চলছে এসি, ফ্যান, এয়ারকুলার মিলছে সামান্য স্বস্তি, তবে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হলে আর রক্ষা নেই, ঘরের ভেতর থাকা দায় হয়ে পড়েছে। তপ্ত গরমে সাময়িক তৃষ্ণা জুড়াতে পথচারীরা নগরীর বিভিন্ন সড়কের পাশ হতে পান করছে একগ্লাস ঠান্ডা বরফের আখ বা লেবু রসের শরবত।
উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জাহাতাফ হোসেন জানান- গরমে ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি মিলছে না। বাইরে বাতাস থাকলেও বেজায় গরম লাগে, রোদে বের হলেই দরদর করে ঘাম ছেড়ে দেয়। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছি না। বৃষ্টিরও দেখা নেই।
রাজগঞ্জ এলাকার একজন দিন মজুর আলমগীর হোসেন। তিনি জানান- চলমান তীব্র গরমে মাঠের কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। শরীর থেকে দরদর করে ঘাম ছোটে। তবে কি আর করবো মুর্খ মানুষ, এই কাজ করেই সংসারের খরচ চালাতে হয়, গরম বলে কিছু মনে হয় না।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন-২০২২) সরেজমিনে রাজগঞ্জ এলাকার কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখা গেছে শ্রমিকরা কাজ করছে আর যেনো জীবনের সাথে যুদ্ধ করছে। গাড়ীর শ্রমিক, সড়কে চলাচলকারী যানবহনের যাত্রীসহ সকলেই প্রচন্ড গরমে অস্থির। ক্লান্তিতে কাহিল হয়ে পড়ছেন মানুষ।
এদিকে দেখা যাচ্ছে আকাশে মেঘের ঘনঘটা। তবুও বৃষ্টি নেই।
আবহাওয়া বিদরা বলছেন- আকাশে হাল্কা হাল্কা মেঘ আছে। কিন্তু মেঘের ঘনত্ব না থাকার কারণে বাতাসে তাপমাত্রা বেশি, অন্যদিকে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমান বেশি হওয়ার দরুন অসহনীয় গরম অনুভূত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত হলেই গরমের তীব্রতা কমে যাবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]