মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের একজন অল্প আয়ের মানুষ হেলাল উদ্দিন (৩২)। তিনি একটা প্রতিষ্ঠানে প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকার বেতনে অস্থায়ী চাকরি করেন। এই অল্প আয়ে বাড়তি বাজারে সংসার চালাতে যেয়ে দিশেহারা তিনি। সংসারের চাহিদা অনুযায়ী কোনো পণ্যই কিনতে পারেন না সে।
রাজগঞ্জ বাজারে সকল নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বাড়তি দামের পণ্য চাহিদা অনুযায়ী কিনতে রিতিমত হিমশিম খাচ্ছে অল্প আয়ের মানুষেরা।
এরকম বহু অল্প আয়ের মানুষ রয়েছে যারা, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।
রাজগঞ্জ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সুব্রত দত্ত গত বৃহস্পতিবার রাতে জানান- 'তেলসহ সকল পণ্যের দাম বাড়তি। যে বিস্কুটের প্যাকেট বিক্রি হতো ৫০ টাকা, এখন সেই এক প্যাকেট বিস্কুট ৬০ টাকা। সয়াবিন তেল (খোলা) প্রতিকেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি করছে।'
প্রত্যেক নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে এ ব্যবসায়ী আরো বলেন- 'মোকাম থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সেই অনুযায়ী আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে।'
একই দিন রাজগঞ্জ বাজারের চৌরাস্তা মোড়ের মুদি ব্যবসায়ী নাসিম রেজা জানান- 'পণ্যের দাম যে ভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদেরও কাষ্টমারের কাছে দাম চাইতে লজ্জা লাগছে।'
তিনি আরো জানান- 'তেল, চাল, ডাল, আটা, চিনি, বিস্কুট, ডিম, মসলাসহ সকল পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে।'
এদিকে, দাম বেড়েছে- মাছ ও মাংসের। গো-খাদ্যের দামও বেড়েছে।
রাজগঞ্জ এলাকার ঝাঁপা গ্রামের আমজাদ হোসেন (৬০), মোশাররফ হোসেন (৬০), হানুয়ার গ্রামের মোকলেছুর রহমান (৬৫), খালিয়া গ্রামের আবুজান (৫৫) সহ আরো কয়েকজন হতদরিদ্র মানুষ জানান- 'বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনতে পারছি না। দাম অনেক বেশি। কি করে সংসার চালাবো, এই ভেবেই হতাশ হয়ে যাচ্ছি।'
সরেজমিনে দেখা গেছে- 'রাজগঞ্জ বাজারের কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পণ্য বিক্রয় মূল্য তালিকা নেই। যে যার মতো ইচ্ছা অনুযায়ী দামে পণ্য বিক্রয় করে যাচ্ছে।'
এবিষয়ে পত্র-পত্রিকায় অনেকবার লেখা-লেখি হলেও রাজগঞ্জ বাজারের দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি পড়েনি।
রাজগঞ্জ বাজারে মনিটরিং করার জন্য রাজগঞ্জ এলাকার অল্প আয়ের দরিদ্র মানুষেরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]