নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি অতিরিক্ত দামের ওষুধ কিনতে মহা বিপদে আছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের খেটে খাওয়া অল্প আয়ের সাধারণ মানুষ।
বাজারে প্রতিদিন কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছেই। একজন সাধারণ মানুষ সারাদিন কাজ করে ৩০০/৪০০ টাকা আয় করে চাল, ডাল, তেল, তরি-তরকারি কিনতেই টাকা শেষ হয়ে যায়। তারপর রয়েছে ওষুধ কেনা।
রাজগঞ্জের বাসিন্দা আইয়ুব হোসেন (৫০) নামের একজন দিনমুজুর বলেন- বাড়িতে রয়েছে শিশু এবং প্রবীণ মানুষ। দুই বয়সের মানুষের জন্য প্রতিদিন ওষুধ কিনতে হয়। ওষুধের যে দাম তাতে কিনতে যেয়ে প্রতিনিয়ত বিপাকে রয়েছি।
রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামের বাসিন্দা মোকলেছুর রহমান (৪৫) বলেন- নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে সাধারণ মানুষ খুব কষ্ঠে আছে। সেই সাথে মাত্রাতিরিক্ত দাম দিয়ে ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ।
তিনি বলেন- এমন পরিবার আছে, প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকার ওষুধ কিনতে হচ্ছে। তারা কিভাবে পারবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজগঞ্জ বাজারের একজন ওষুধ ব্যবসায়ী বলেন- ওষুধের দাম কোম্পানি থেকে বাড়ানো হয়। আমাদের বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে আমরা বুঝি, মানুষ ওষুধ কিনতে এসে কত সমস্যায় পড়ে। অনেকেই প্রয়োজন মতো ওষুধ কিনতে পারে না।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে- ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে, ওষুধ কিনে খাওয়া পুর্যন্ত মানুষের সবচেয়ে বেশি ব্যয় হচ্ছে। চিকিৎসাখাত নি¤œবিত্ত মানুষের আওতার বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে- ওষুধের দাম বাড়তি, ডাক্তার খরচ বাড়তি, পরিক্ষা-নীরিক্ষার খচর বাড়তি। সব মিলিয়ে অল্প আয়ের মানুষ ভবিষ্যতে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে। কারন আয় বাড়ছে না। বাড়ছে শুধু খরচ। তাই এসব দিকে সরকারের আশু নজর দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]