মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে পাইকারি বাজারে পটলের দাম কমে যাওয়ায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষকরা।
প্রতিকেজি পটল পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ টাকা। কিন্তু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে।
বাজারে পটলের পর্যাপ্ত আমদানি হচ্ছে। চাহিদা মাফিক ক্রেতা না থাকায় কৃষকরা কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন পটল।
কৃষকরা বলছেন- ক্ষেত থেকে পটল তোলা খচর আর পরিবহন খরচ উঠছে না পটল বিক্রি করে। আবার অনেক কৃষক ক্ষেত থেকে পটল তুলছে না। ফলে ক্ষেতে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অত্যন্ত কষ্টে উৎপাদিত পটল।
শনিবার (৪ জুন-২০২২) বিকালে কথা হয় উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণবাটি-সাগরা গ্রামের কয়েকজন কৃষকের সাথে। তারা বলেন- ৫ টাকা করে প্রতিকেজি পটল বাক্রি করতে হচ্ছে বাজারে। এর থেকে আড়তদারের ১টাকা, পরিবহন খরচ দেড় টাকা। তাহলে থাকলো কি। শুধু কষ্ট করতে হচ্ছে। রাজগঞ্জের মোবারকপুর গ্রামের কৃষক নাজির হোসেন জানান- বাজারে পটলের এ দর থাকলে কৃষকদের নির্ঘাত লোকসান গুণতে হবে।
কৃষকরা বলেন- পাইকারি বিক্রি করতে গেলেই দাম কম। অথচ খুচরা বাজারে, খুচরা বিক্রেতা প্রতিকেজি ২০ টাকার কমে বিক্রি করছে না। এতে কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন আবার খুচরা ক্রেতারাও ঠকছেন।
স্থানীয় এক উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা বলেন- এবার মণিরামপুর উপজেলায় পটলের আবাদে অন্য বছরের মতো খুব ভালো ফলন হয়েছে। হঠাৎ করে দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে প্রথমদিকে পটলের লাভজনক দাম পেয়েছেন তারা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]