হেলাল উদ্দিন, মনিরামপুর : ঈদুল আজহা পরবর্তী যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে সবজি ব্যবসায়ীরা, সবজি বিক্রি করছেন অত্যন্ত চড়া দামে। অজুহাত দিচ্ছেন সরবরাহ ঘাটতির। কিন্তু কোনো দোকানে সবজি কম নেই।
বুধবার (১৯ জুন) দুপুর ১২টার পর রাজগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা যায়- বাজারের অধিকাংশ সবজির দোকান খোলা আছে। সবজিও আছে দোকানে প্রচুর পরিমান। কিন্তু দামে আগুন। মাছের বাজারেও, মাছের দামে আগুন। প্রত্যেক মাছের দাম বৃদ্ধি। যেনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। বাজার ঘুরে সবজির দামে তারতম্য দেখা গেছে। কোনো দোকানে কম আবার কোনো দোকানে বেশি। ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছে বিক্রেতারা। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাজার ঘুরে জানাগেছে- বেগুন ১২০ টাকা প্রতিকেজি, কচুর মুখি ১০০ টাকা প্রতিকেজি, উচ্চে ১০০ টাকা প্রতিকেজি, পটোল ৪০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, কাঁচা ঝাল ২৮০ টাকা প্রতিকেজি, পেঁয়াজ ৮০ টাকা রসুন ২৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, শশা ১৫০ টাকা, কাঁচা কলা ৬০ টাকা প্রতিকেজি।
রাজগঞ্জ বাজারের একজন সবজি বিক্রেতা বলেন- আড়ত থেকে সবজি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ বাজারের আরেকজন সবজি বিক্রেতা বলেন- মনিরামপুর বাজারের আড়তগুলোতে সবজি কম। দাম অনেক বেশি। যেমন দামে কিনি, তেমন দামেই বিক্রি করি। কিন্তু এ কথা মানতে চাচ্ছে না সাধারণ ক্রেতারা।
তারা বলছেন- মিথ্যা কথা বলে দোকানদাররা বেশি দাম নিচ্ছে। ক্রেতাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের গলা কাটছে। ঈদুল আজহা পরবর্তী সবজির বাজারে কোনো অল্প আয়ের গরীব মানুষের জায়গা নেই। এমন পরিবেশ গরীব মানুষেরা সবজির দাম শুনতেও ভয় পাচ্ছে।
রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব এ.কে.এম ইউনুস আলম বলেন- আমাদের মতো মানুষেরা তাই সবজি কিন্তু হিমশিম খাচ্ছে। তাহলে সাধারণ গরীব মানুষের কি অবস্থা চিন্তা করার বিষয়। রাজগঞ্জ এলাকার সাধারণ মানুষের দাবী সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া জরুরী প্রয়োজন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]