সোমবার (০৬ মার্চ) দুপুরে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই কাঁচা ছিন্নি উৎসব পালন করে।
দেখাগেছে- ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা খুব আনন্দের সাথে প্রয়োজনীয় উপকরন দিয়ে একটি হাড়িতে কাঁচা ছিন্নি তৈরি সম্পন্ন করে। এরপর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মাসুদ কামাল তুষার, সহকারি সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রবিউল ইসলামকে সাথে নিয়ে কাঁচা ছিন্নি খেয়ে এবং শিক্ষার্থীদের খাওয়ায়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন। এসময় সহকারি শিক্ষক পারভীন সুলতানা, আসাদুজ্জামান রিপন, মোহাম্মদ আলী, রুমানা আক্তার, অফিস সহকারি আবু শাহদিৎ জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে ৭ম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীদেরকে খাওয়ানো হয়। পরে সকল শিক্ষক ও অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের খাওয়ানো হয়।
উল্লেখ্য যে, এক সময় ছিলো, বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটা গ্রামে গ্রামে নির্দিষ্ট একটি সময়ে গ্রামের প্রতিটা বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় উপকরন তুলে, সকল মানুষের উপস্থিতিতে, তৈরি করা হতো এই কাঁচা ছিন্নি। প্রত্যেক বাড়ি থেকে ঘোটি হাতে ছেলে-মেয়েরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে যেতো সেই কাঁচা ছিন্নি নিতে। খুব আনন্দ পেতো তখনকার ছেলে-মেয়েরা।
সোমবার রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই উৎসব শেষে, যখন শিক্ষার্থীরা কাঁচা ছিন্নি খাচ্ছিলো, তখন তারা বলছিলো- আমরা কাঁচা ছিন্নি কি তা জানতাম না। আজ নিজের হাতে তৈরি করে জানতে পারলাম, এমন করে কাঁচা ছিন্নি তৈরি করতে হয় বা এক সময় হতো। এই শিক্ষার্থীরা এই কাঁচা ছিন্নি তৈরি করে খুব খুব আনন্দ উপভোগ করেছেন এবং পাঠ্যবইয়ের অংশ হিসেবে আগে এলাকায় কি কি উৎসব পালন হতো, তা ব্যবহারিক ক্লাসের মাধ্যমে জানতে পেরেছে।