প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও ব্রাজিলের মতো দেশ ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। এর বিষাক্ত ছোবলে যেন অসহায় হয়ে পড়েছে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান।
এখনও পর্যন্ত কার্যকরী কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে কোটি ৩৯ লাখ ৪৬ হাজার ১৭০ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৯ লাখ ২ হাজার ৬৭৩ জনের।
এমন পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মানুষ। স্বাচ্ছন্দে বাড়ির বাইরে বের হতে পারছে না কেউ।
তবে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে রাশিয়া।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর দাবি, তাদের দেশে তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ‘কার্যকর ও নিরাপদ’ বলে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে যে ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবকের দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল, তারা সবাই এখন করোনা থেকে সুরক্ষিত।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন, এ বছরই করোনাভাইরাসের একটি টিকা আনতে সক্ষম হবেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। ভারতেও করোনার টিকার মানব পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
১২ জুলাই রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করেছে তারা।
বুধবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ই-মেইল বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, একটি সামরিক হাসপাতালে প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ২৮ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগের ২৮ দিন পরে ওই স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ সব লক্ষণই স্বাভাবিক সীমার মধ্যেই ছিল। তাদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর কোনও প্রভাব বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হয়নি। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এখন ‘আমরা জোর দিয়ে এটা বলতে পারছি, এই ভ্যাকসিনটি নিরাপদ।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]