সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিনের শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এসব আঘাতের ৯৭টি লীলাফোল আঘাত ও ১৪টি জখমের চিহ্ন ফরেনসিক রিপোর্টে উঠে এসেছে।
গতকাল শনিবার সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের মূল রিপোর্ট দিতে সময় লাগবে। পিবিআইয়ের কাছে আমরা প্রাথমিকভাবে একটি রিপোর্ট দিয়েছি।’
তিনি আরও জানান, আঘাতে রায়হানের দেহের মাংস থেতলে যায়। রগ ফেটে গিয়ে আন্তঃদেহে রক্তক্ষরণ (ইন্টারনাল ব্লিডিং) হয়। আর অতিরিক্ত আঘাতে মূর্ছা যান রায়হান। আঘাত করার সময় রায়হানের স্টমাক খালি ছিল। স্টমাকে ছিল কেবল এসিডিটি লিকুইড।
রায়হানকে দাফনের পর গত বৃহস্পতিবার পুনঃময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। ওই দিন ময়নাতদন্ত শেষে আবার মরদেহ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। এর পর এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনার পর রবিবার থেকে আকবর পলাতক রয়েছেন। মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশ পিবিআইতে স্থানান্তর হয়।
প্রসঙ্গত, ১১ই রোববার ভোর রাতে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]