ভাসানচর নিয়ে রোহিঙ্গাদের ভুল ভেঙ্গেছে বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘ভাসানচর নিয়ে রোহিঙ্গারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। আমরা মনে করছি এখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে স্বস্তিবোধ করছে। তাই তারা দলে দলে এখানে আসতে শুরু করবে।’
আজ মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর ১০তম হিসেবে ভাসানচর থানার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাবে কিন্তু ভাসানচর থাকবে। ভবিষ্যতে সম্ভাবনাময় জায়গা হিসেবে গড়ে উঠবে এই চর। ভাসানচরের নিরাপত্তার জন্য থানা করা হয়েছে। ভাসানচর থানাকে প্রয়োজনীয় জনবলসহ সব দিক দিয়ে আরও শক্তিশালী করা হবে।’
ভাসানচর থানাটি হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬টি মৌজা নিয়ে গঠিত।
ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-৩ এ বাস করা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতের জন্য এক জন পুলিশ পরিদর্শক (অফিসার ইনচার্জ), দুই জন এসআই (নিরস্ত্র), চার জন এএসআই (নিরস্ত্র), ১৭ জন কনস্টেবলসহ মোট ২৪টি পদ নিয়ে এই থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাতিয়ার (নোয়াখালী-৬ ) সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. মোস্তফা কামালউদ্দিন, পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান।
ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের পরিকল্পনায় নিরাপত্তার জন্য ২০১৭ সালে থানা অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) এর ১১৬তম সভায় ভাসানচর থানা স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। একই বছরের ডিসেম্বরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাসানচর থানার জন্য ২৪টি পদ অনুমোদন করে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]