নিখোঁজের ১১ ঘণ্টা পার হলেও এখনও সন্ধান মেলেনি বরগুনার নারী ও শিশুসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের। বিভিন্ন এলাকা জুড়ে চলছে শোকের মাতম। বন্ধ রয়েছে অনেকের মুঠোফোন। নিখোঁজ যাত্রীদের তথ্য দিতে পারছে না বরগুনা নৌবন্দরও।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলের কাছে সুগন্ধা নদীতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চটি।
আহত ব্যক্তিদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে লঞ্চে থাকা যাত্রীদের। তাই তাদের সন্ধানে বরগুনা নৌবন্দরে এসেছেন অনেকে। কিন্তু এখানে এসেও কোনো খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজ যাত্রীদের তথ্য দেওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই বরগুনা নৌবন্দরে। খোলা হয়নি কোনো কন্ট্রোল রুমও। বিপাকে পড়েছেন দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের যাত্রীদের স্বজনরা।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ। বর্তমানে তিনি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের খোঁজ-খবর নিতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সুলতানা নাদিরা। তাদেরকে ঝালকাঠী ও বরিশালের পাঠানো হয়েছে।
বরগুনার বিভিন্ন এলাকার নিখোঁজ যাত্রীদের খুঁজতে ঘটনাস্থলে গেছেন স্বজনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ পোস্ট দিয়ে খোঁজার চেষ্টা করছেন তারা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]