লাদাখ রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুককে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার অঞ্চলটির রাজধানী লেহে বিক্ষোভের দুই দিন পর শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে 'উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জনতাকে উস্কে দেওয়ার' অভিযোগ এনেছে। সেই সঙ্গে তাকে যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে বলে ইঙ্গিতও দেয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রসহ ৪ জন নিহত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াংচুকের অলাভজনক সংগঠন 'স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখ'-এর নিবন্ধন বাতিল করে। তার একদিন পর তিনি গ্রেপ্তার হলেন।
২০১৮ সালে র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত পার্বত্য অঞ্চলের সুপরিচিত এই সমাজকর্মী কেন্দ্র সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনের করা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত ছয় বছর ধরে স্থানীয় নাগরিক সংস্থাগুলোর নেতৃত্বে লাদাখের হাজার হাজার মানুষ শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করেছে এবং অনশন করেছে- ভারতের কাছ থেকে বৃহত্তর সাংবিধানিক সুরক্ষা এবং রাজ্যের দাবিতে। ২০১৯ সাল থেকে এই অঞ্চলকে ফেডারেলভাবে শাসন করছে। কিন্তু তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষমতা চায়।
ধারাবাহিক অনশন ধর্মঘটের নেতৃত্ব দেওয়া সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তারের আগে বলেছিলেন, জনগণের দাবির ধারাবাহিকতায় বুধবার হতাশ তরুণদের একটি দল শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ থেকে সরে এসেছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মোদি সরকার একতরফাভাবে ভারতীয় সংবিধানের অধীনে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের আধা-স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা এবং রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেয়। রাজ্যটিতে তিনটি অঞ্চল ছিল- মুসলিম-প্রধান কাশ্মীর উপত্যকা, হিন্দু-প্রধান জম্মু এবং লাদাখ- যেখানে মুসলিম ও বৌদ্ধ উভয়ই জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ।
লাদাখের সাক্ষরতার হার ৯৭ শতাংশ, যা ভারতের জাতীয় গড়ের প্রায় ৮০ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু ২০২৩ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, লাদাখের স্নাতকদের ২৬.৫ শতাংশ বেকার - যা জাতীয় গড়ের দ্বিগুণ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]