যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ই-সেবা কেন্দ্রের দুর্নিতীবাজ সাবেক উদ্যক্তা মিজানুর রহমানকে বরখাস্ত করার পরও সে চাকুরীতে পুনরায় যোগদানের জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন। সে এখনো নিজেকে ই-সেবা কেন্দ্রের উদ্যক্তা পদে বহাল রয়েছেন বলে বিভিন্ন দপ্তরে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে নতুন নিয়োগ পাওয়া উদ্যক্তা নয়ন হোসেন তার চাকুরিতে চুড়ান্ত নিয়োগ পাওয়া নিয়ে আশংকার মধ্য রয়ছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
সাবেক উদ্যক্তা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জন্ম সনদে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বয়স কমবেশী করাসহ নানান দুর্নিতীর অভিযোগ আনেন এলাকাবাসি। এছাড়াও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মোবাইল ফোনে মিজানুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন আমি এখনো চাকুরীতে বহাল আছি। লোকবলের প্রয়োজনে নয়নকে অতিরিক্ত উদ্যক্তা হিসেবে রাখা হয়েছে।
এব্যাপারে শংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেছার উদ্দীন জানিয়েছেন, মিজানুর রহমান ও পারভীন ইসেবা কেন্দ্র থেকে পালিয়ে বিয়ে করে দু'মাস যাবৎ অজ্ঞাতবাস করেন। এতে ইউনিয়ন পরিষদের ইসেবা কেন্দ্রের সকল কার্যক্রম ব্যাহত হয়। যে কারনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে রেজুলেশনের মাধ্যমে মিজানুর রহমান ও পারভীন কে অব্যাহতি দিয়ে নয়ন হোসেন ও তুহিনকে ই-সেবা কেন্দ্রে নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তিতে মানবিক দিক বিবেচনা করে পারভীনকে পুনর্বহাল করা হয়। অন্যদিকে মিজানের পুর্বের স্ত্রী ও সন্তানাদি থাকা সত্বেও দ্বীতিয় বিয়ে করার অপরাধে ও ই-সেবা কেন্দ্রের দায়ীত্বে অবহেলাসহ নানান অনিয়মের কারনে তাকে স্থায়ীভাবে অব্যহতি দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান উপজেলা পরিষদ থেকে নয়ন হোসেনকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া সংক্রান্ত আদেশপত্র ইউনিয় পরিষদে জমা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]