বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

শতভাগ বিদ্যুতায়নের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ এখন শতভাগ বিদ্যুতায়নের দ্বারপ্রান্তে। চর থেকে পাহাড়, দ্বীপ থেকে প্রত্যন্ত জনপদ সব জায়গায় পৌঁছে গেছে বিদ্যুতের আলো, পাল্টে গেছে জীবনযাত্রা। বাকি কেবল পার্বত্য চট্টগ্রামের ০ দশমিক ১৫ ভাগ এলাকা। চলতি মাসের মধ্যে অবশিষ্ট কাজও শেষ করতে চায় বিদ্যুৎ বিভাগ।

খাগড়াছড়ির ঠাকুরছড়া, বিচ্ছিন্ন এই জনপদে আঁধার নামতেই জনজীবন স্থবির হতো। তবে এখন রাতের অন্ধকার দূর করে জনজীবন সচল থাকে বহুক্ষণ। দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সৌর বিদ্যুতের আলো জীবনযাত্রা পাল্টে দিয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং বলেন, রিমোট এলাকা, সেই এলাকায় আমরা প্রায় ১১ হাজারের মতো সৌরবিদ্যুতের লাইন দিয়েছি। সাড়ে ৪২ হাজার পরিবারের মধ্যে সোলার আলো দেওয়া হবে বিনাপয়সায়।

মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দুর্গম চরাঞ্চলে নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আরও দুর্গম কিছু এলাকায় দেওয়া হয়েছে জেনারেটর। এভাবেই গেল এক যুগে বিদ্যুতের গ্রাহক বেড়েছে তিন কোটি ২১ লাখ।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন বলেন, আগে গ্রাহকরা অফিসে আসত বিদ্যুৎ লাইনের জন্য। এখন আমরা উল্টো গ্রাহকের কাছে যাচ্ছি বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য। ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ আমাদের একটি কর্মসূচি। তার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গিয়ে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আর আমাদের অফিসে আসলেও আমরা দ্রুত বিদ্যুতায়নের আওয়ায় নিয়ে আসছি। পাওয়ার সেলের তথ্যমতে, ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুতের গ্রাহক ছিল এক কোটি আট লাখ, বর্তমানে যা ৪ কোটি ১৮ লাখ। ২০০৯ সালে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, বর্তমানে ২৫ হাজার ২৮৪ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎকেন্দ্র ২৭টি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭টিতে। দ্রুত সময়ের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাইলফলক অতিক্রম করবে বাংলাদেশ।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা গ্রিড লাইনে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করে ফেলেছি প্রায় ২০২০ সালের শেষ নাগাদ। আমাদের চ্যালেঞ্জটা ছিল চর এলাকায় কত দ্রুত বিদ্যুৎ নিয়ে আসতে পারি। আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য দুর্গম চরগুলোতে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কানেকশন দিচ্ছি। যে চ্যালেঞ্জটা আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় এখনও বাকি আছে, সেগুলো সোলার ছাড়া উপায় নাই।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, দশমিক ১৫ হলো ওই অংশটুকু। সে অংশটুকু সোলারের মাধ্যমে, পার্বত্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সেটা বিদ্যুতায়ন হবে। আমরা যেকোনো সময় প্রধানমন্ত্রীর সুবিধামতো সময়ে শতভাগ যে বিদ্যুতায়ন হয়েছে তা আমরা ঘোষণা আসবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটানের পর বাংলাদেশই হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ। তবে মাত্র সাড়ে সাত লাখ মানুষের দেশ ভুটানের চেয়ে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জটা অনেক বড় ছিল, যা জনসংখ্যার বিচার করলেই বোঝা যায়।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, আমাদের বিদ্যুতের ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অর্থনীতিকে সমর্থন করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা হবে ২২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। সে সময় উৎপাদন ক্ষমতা থাকবে প্রায় দ্বিগুণ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ডাকসু নির্বাচনে হেরেও প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রদল নেতা হামিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভা অনুষ্ঠিত

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন

নির্বাচনে সিসিটিভি ও বডিওর্ন ক্যামেরার বিষয়ে ‘করণীয় কিছু’ নেই: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বা বডিওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারেরবিস্তারিত পড়ুন

  • আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ
  • হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ ১২ অক্টোবর, বাড়বে না সময়
  • পরিবর্তন চাইছে এশিয়ার ক্ষুব্ধ জেন-জি
  • ১০ ভোটও পাননি ২১ ভিপি প্রার্থী, যে যত ভোট পেলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে ১, ২ ও ৩টি করে ভোট পেলেন যারা
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
  • ঢাবির ইতিহাসে প্রথম ডাকসু নির্বাচনে জয়ী স্বামী-স্ত্রী
  • যে মতেরই হোক না, সবাই একসঙ্গে কাজ করবো: সাদিক কায়েম
  • ডাকসু নির্বাচনে কে কোন পদে জয়ী হলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস, মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবিরের সাদিক কায়েম ও ফরহাদ
  • বয়স ১৬ হলেই পাওয়া যাবে এনআইডি