এবার শতাধিক দ্বীপ ভাড়া দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন সরকার। নানা কারণে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় লিয়াওনিঙ প্রদেশের এই দ্বীপগুলোতে এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি জনবসতি। চীন মনে করছে—প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এ দ্বীপগুলোকে ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারলে তা পর্যটন শিল্পের জন্যও সহায়ক হবে। এসব চিন্তা থেকেই দ্বীপগুলোকে ফেলে না রেখে ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।খবর সিএনএন এর।
জানা গেছে, দ্বীপ ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহেরও পরিকল্পনা করছে চীন সরকার। লিয়াওনিঙ প্রদেশের অর্থ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বেশ জোরালোভাবে প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হচ্ছে।
সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীনের এই প্রদেশটিতে ৬৩৩টি দ্বীপ রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ৪৪টি দ্বীপে জনবসতি গড়ে উঠেছে। ফাঁকা পড়ে থাকা ৫৮৯টি দ্বীপ ভাড়া দিয়ে পর্যটন খাতকে চাঙ্গা করার পরিকল্পনা করছে চীন। প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার থেকে চীনকে পৃথক করা পিত সাগরের তীরের এই দ্বীপগুলোর অপার সম্ভবনা রয়েছে। দ্বীপের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে হেক্টর প্রতি ৫৩৫ ডলার (সাড়ে ৪৫ হাজার টাকা) থেকে শুরু করে ৩০ কোটি পর্যন্ত। মূলত অবকাঠামোগত সুযোগসুবিধার ওপর ভিত্তি করে দ্বীপের ভাড়ার এই বিশাল তারতম্য।
উল্লেখ্য, দ্বীপ ভাড়া দিতে সরকারের এমন অভিনব ঘোষণায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই বিষয়টিকে নিয়ে হাস্যরস করছেন, কেউ কেউ পরিকল্পনা করছেন বন্ধুবান্ধব মিলেই একটি দ্বীপ কিনে ফেলবেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে নিছক মজা না করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]