চাকুরী নয় কৃষিতে মিলবে জয়। দেশ জাতির কল্যানে নতুনত্ব ফসলে হব সাফল্যময় এমনি আশা নিয়ে আধুনিক লাঠিমরিচ চাষ শুরু করে চমক দেখিয়েছেন শার্শার এক স্মার্ট কৃষক রাজা। সাফল্যের মিষ্টি ঝিলিকে উচ্ছাসিত স্ব-শিক্ষীত এ যুবক।
পুষ্টিগুনে ভরা মিষ্টি ও্ খেতে সু স্বাদু দেখতে বড় এই প্রথম লাঠি মরিচ বা সিমলা মরিচ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন যশোরের শার্শা লক্ষনপুরের স্মার্ট কৃষক আবু সাঈদ ওরফে (মানিক রাজা) মাত্র ১৭ শতাংশ জমিতে এই মরিচ চাষ করে পেয়েছেন সফলতা। এলাকায় দেখিয়েছেন চমক।কাঙ্খিত ফলন ও অধিক দাম পাওয়ায় আগামীতে এই মরিচ চাষ বৃদ্ধিসহ রফতানির স্বপ্ন দেখছেন চাষী ও ব্যাবসায়িরা।
দেশ বিদেশের নামীদামী হোটেল,রেষ্টুরেন্টসহ বিভিন্ন খাদ্যে,সালাদওসবজি হিসাবে ব্যবহার ক্যাপছিক্যাম মরিচের চাহিদা ও কদর রয়েছে ভাল। ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসে এ মরিচ। এবার ভারতের পুনে থেকে আনা নতুন জাতের সিমলা মরিচ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন শার্শার স্মার্ট কৃষক রাজা। দেখতে মোটা মরিচ মনে হলেও খেতে মোটেও ঝাল নয় মিষ্টি ও সুস্বাদু। লাঠি মরিচ নামে এমরিচে রয়েছে পুষ্টিগুন। ক্যাপসিকামের মত এই মরিচ সবজি বা সালাদ করে খাওয়া যায়। এজাতীয় মরিচ মিষ্টি মরিচ নামেও পরিচিত।পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এই লাঠি মরিচ বা সিমলা জাতের মরিচের চাষ বেশি হওয়ায় সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করেন মানিক রাজা। দেশীয় আবহাওয়া প্রথম বারের মতো বীজ থেকে চারা তৈরি করে সফলও হয়েছেন তিনি। মাত্র ৪১দিনেই পাওয়া যায় ফলন।ক্ষেতের প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে বড় বড় সাইজের মিষ্টি মরিচ। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে ৫গুন লাভের ফসল এ মরিচ। উৎপাদন ভালো এবং বাজারে এর চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই উদ্যোক্তা। আগামীতে বৃহৎ পরিসরে এই মরিচের আবাদ বৃদ্ধির আশা চাষী রাজা সহ স্থানীয় কৃষকেদের।
ভারত থেকে প্রতি বছর ৩০০থেকে সাড়ে তিনশত ট্রাক ক্যাপসিকাম আমদানি করে দেশে মিটানো হয় এ সবজির চাহিদা। নতুন এস সবজি চাষ করে আমদানি কমিয়ে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি বিদেশে রফতানির আশা দেখছেন চাষী ও ব্যাবসায়িরা।
লক্ষনপুরের চাষী ও সবজি আমদানিকারক আবু সাইদ জানান সফলতার কথা দেশে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় আমদানির সাথে সাথেই চাষের উপর জোরদিয়ে পেয়েছেন সফলতা। কৃষকের ভাগ্যউন্নয়নে কাজ করতে পেরে খুশি তিনি।
যশোরের শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল বলেন দেশীয় আবহাওয়ায় শার্শা উপজেলার মাটিতে এই প্রথমবারের মতো ক্যাপসিকামের পরেই চাষ হচ্ছে মিষ্টি মরিচ বা সিমলা জাতের মরিচের। আগামীতে বিস্তর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষন পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে । বিদেশের মাটিতে নয় দেশের মাটিতেই ফলছে লাঠি মরিচ বা মিষ্টি মরিচের মতো বিভিন্ন জাতের বিদেশি সবজি। এর ফলে ঘুচবে বেকারত্ব উপকৃত হবে দেশের মানুষ।
কৃষিতে সৃষ্টি হবে অপার সৃম্ভাবনা। সাফল্য আসবে দেশে। স্মার্ট কৃষিতে জোর দিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। এ সবজি চাষ লাভবান হওয়ায় আগামীতে বিস্তর এলাকায় চাষের আশা দেখছেন কৃষকেরা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]