যশোরের শার্শা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই করোনার চিকিৎসা ব্যাবস্থা চালু করতে হবে মফস্বল ক্লিনিক গুলোতে। না হলে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হবে।
মফস্বল ক্লিনিক গুলিতে ভালো মানের চিকিৎসক ও করোনা চিকিৎসা সম্পর্কে ধারনা না থাকায় অনেক রোগী অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ১৩ জন রোগী অজ্ঞতার কারনে প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্লিনিক গুলিতে এখন সিজেনিয়াল রোগীর সংখ্যা বেশী। তাই চিকিৎসা দিতেও অভিজ্ঞ ডাক্তারের প্রয়োজন। প্রতিদিন সর্দী, কাশি, জ্বর মাথা ব্যাথা নিয়ে রোগীরা হাজির হচ্ছেন মফস্বল ক্লিনিকে। আর অন্যান্য উপস্বর্গ তো আছেই।
আজকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা হয় বাগআঁচড়া জোহরা মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ডাঃ হাবিবুর রহমান হাবিবের সাথে, তিনি জানান তার ক্লিনিকে রোগী আসলে প্রথমে করোনা টেষ্ট পরীক্ষা করানো হয়। পরবর্তীতে রিপোর্ট এর উপর ভিত্তি করেই তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় এখানে দক্ষতার সাথে খুব যত্ন সহকারে রোগীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা এখানে নিয়মিত রোগী দেখছেন।
উল্লেখ্য আজ খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ একদিনে ৫১ জন করোনায় মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ১,৩০৪ জন, করোনায় এক দিনে যশোরে মারা গেছেন ১৬ জন। এই আলোকে তার সাথে কথা বললে, তিনি জানান তার হাসপাতালে করোনা পজেটিভ রোগীদের জন্য খুব শিগগিরই অক্সিজেনের ব্যাবস্থা করবেন। অক্সিজেন ব্যাবস্থা চালু করতে পারলে গ্রাম অঞ্চলের করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া খুব সহজ হবে।
এদিকে ৭ দিনের সর্বোচ্চ লকডাউন আজ পঞ্চম দিন চলছে। নতুন করে আরো ৭দিন বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]