যশোরের শার্শা উপজেলার ৬নং গোগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তার দুই ছেলে ও ভাই মিলে প্রকাশ্য দিনের বেলা গোগা বাজারে শত শত লোকের সামনে একই পরিষদের অন্তর্ভুক্ত হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের বাবুল মেম্বরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাবুল মেম্বর আহতাবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মাথায় আঘাতের কারণে বমি হচ্ছে মাঝে মাঝে। ঘন ঘন কাশছেন। শ্বাসকষ্ট অনুভব করছেন। তার স্ত্রী বলছেন মাথায় প্রচন্ড আঘাতের কারণে এমনটি হচ্ছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার ঘটনা। তিনি গিয়েছিলেন এমপি সাহেবের পিএ আসাদ সাহেবের কাছে। সেখান থেকে ফিরে তিনি যখন গোগা বাজারে সালাম মেম্বরের দোকানের সামনে পৌছান তখন চেয়ারম্যান রশিদের সাথে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তার গালে চড় থাপ্পড় মারেন। তখন বাবুল মেম্বর মাটিতে পড়ে গেলে ইটের ওপর তার মাথায় আঘাত লাগে। চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, তার বড় ছেলে সম্রাট, ছোট ছেলে সুমন ও তার ভাই ওহাব আলী মারপিট করে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
কেনো মারলেন চেয়ারম্যান? এব্যাপারে বাবুলের বক্তব্য হলো ৪/৫ মাস আগে মেম্বর বাবুলের নেতৃত্বে একটি ফেনসিডিলের চালান আটকানো হয়। এসময় লাইনম্যান ধরা পড়ে। লাইনম্যান স্বীকার করে যে, আটক করা মালগুলো রশিদ চেয়ারম্যানের ছেলে সম্রাটের। একথা শোনার পর থেকে বাবুলের ওপর ক্ষেপে যায় চেয়ারম্যন। এছাড়াও চেয়ারম্যানের কাছে বাবুল মেম্বর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পেতো। টাকা না দেয়ার কারণে বাবুল মেম্বর এমপি সাহেবের কাছে নালিশ করেন। এ সমস্ত কারণে বাবুল মেম্বরের ওপর ক্ষেপে যান রশিদ চেয়ারম্যান। যার বিস্ফোরন ঘটে মঙ্গলবার সকালে সালাম মেম্বরের দোকানের সামনে।
চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, ছোটখাটো একটা ঝামেলা হয়েছে। সেটা পরিষদে বসে মেটানো হবে। তবে তিনি বাবুল মেম্বরকে দোষারোপ করে বলেন, সে যেগুলো বলেছে তা সঠিক নয়।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের ছেলে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে মাদক আইনে একটি মামলা রয়েছে। যার মামলা নং ৩২।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]