যশোরের শার্শা উপজেলার কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠজুড়ে কাদা-পানিতে চারা রোপণ করতে দেখা গেছে হাজারো কৃষকদের। চলতি মৌসুমে এমন দৃশ্য বেনাপোল, বাগআঁচড়া, কায়বাসহ উপজেলার প্রায় সকল অঞ্চলে ফসলী মাঠে।
জানা গেছে, উপজেলার আবাদি জমির উর্বরতা বেশ ভালো। কৃষকরা অভিজ্ঞ। সেজন্যই বেশির ভাগ মাঠে বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদ করেন অনেক কৃষক। পাশাপাশি রবি শস্য ও আমের চাষাবাদও করা হয় এ অঞ্চলটিতে।
জানা গেছে, শ্রাবণের বৃষ্টির পানিতে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছেন। এবার বর্ষা মৌসুমে প্রথমে খুব একটা ভালো বৃষ্টিপাত হতে দেখা যায়নি। সেই কারণে অনেক চাষীকে আবাদি জমিতে বাড়তি পানি সেচ দিতে দেখা গেছে। আবার অনেকে বৃষ্টির অপেক্ষায় ধীরগতি করছিল আমন রোপনে। অবশেষে কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে এই উপজেলাতে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কৃষকরা দ্রুত আমনের চারা রোপণের কাজ শেষ করছেন।
শার্শা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে শার্শা উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার ১ শ’ ১৪ মেট্রিক টন। ইরি-বোরো মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তেমনি কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্যও পেয়েছে। এতে কৃষকরা অনেকটা খুশি। এজন্য কৃষকরা সোনালী স্বপ্ন নিয়ে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ‘কৃষকরা ধান উৎপাদনে অনেক অভিজ্ঞ। তাই যথারীতি ভাবে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই আবাদি জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।’
প্রান্তিক অনেক কৃষক জানান, ‘শ্রাবণ মাসের মধ্যেই আমন ধানের চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন হবে। এবারও আমন ধানের বাম্পার ফলনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠে কাজ করেছি। আমন ধানের চাষাবাদে কৃষকদেরও অনেকটা আগ্রহ বেশি রয়েছে। এতে ব্যয় কম হলেও ধান উৎপাদন ভালো হয়।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]