এক রাতের টানা বৃষ্টিতে যশোরের শার্শা উপজেলার ১৮শ ৬০ হেক্টর সবজিসহ বিভিন্ন ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। সেই সাথে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে নিম্ন অঞ্চলের শত শত পরিবার। অঝর ধারার বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের চোখেমুখে লেপ্টে আছে এখন বিষাদের ছাপ।
এ অবস্থায় আকাশ মেঘলামুক্ত না হলে এবং বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত সহ ফসলের ক্ষেতে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটবে বলে মনে করছেন কৃষক সহ সংশ্লিষ্টরা। কৃষি অফিসের তথ্যমতে রবিবার রাতের টানা বৃষ্টিতে উপজেলায় ৯৫ মিলিলিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে সবজি সহ বিভিন্ন ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
বেনাপোল সীমান্তের ইছামতী নদীর পানি বৃদ্ধি এবং গত রবিবারের মাঝারি ধরনের বৃষ্টিতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে এই উপজেলার প্রান্তিক চাষিরা।
সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় : প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে যশোরের বেনাপোল সীমান্তবর্তী ইছামতী নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে প্লাবিত হয় বাংলাদেশ অংশের বেশ কিছু গ্রাম। বৃষ্টি বাড়ার সাথে সাথে ইছামতী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ছাপিয়ে তা প্রবেশ করে লোকালয়ে। তলিয়ে যায় আশেপাশের এলাকা।
ফসলি জমি ও মাছের ঘের ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি পানি বন্দি হয়ে পড়ে হাজার হাজার পরিবার। জলাবদ্ধতা নিরসনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তি এবং ক্ষতির মুখে পড়েন এ অঞ্চলের মানুষ। এখানেই গ্রীলের মোড় নামক স্থানে একটি গেট থাকলেও সেটি পানি আটকাতে একেবারে অক্ষম। ফলে পুটখালি, রাজগঞ্জ, কামানপোতা, খলসী এলাকাসহ আরো কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়ে ফসলি জমি, মাছের ঘের ভেসে যায়। দোটানা সংশয়ে নাস্তানাবুদ অবস্থায় দিন পার করছে সীমান্ত এলাকা সহ নিম্ন অঞ্চলের মানুষেরা।
তবে, ভারতীয় ইছামতী নদীর তীরবর্তী বাংলাদেশ অংশে প্রতি বর্ষা মৌসুমে এমন জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনের জন্য কাজ করছে বলে জানান উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক নিম্ন অঞ্চল পর্যবেক্ষন করছি। তবে বৃষ্টি বাড়লে ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়া সহ শত শত পরিবারও পানি বন্দি হয়ে পড়বে।
পাশাপাশি সব ধরনের ফসল চাষে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে কৃষকরা। আগামী দুই বা তিন দিন যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে কৃষকরা কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]