যশোরের শার্শায় জমা-জমি সংক্রান্তের জেরে ভাইয়ের বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই জসিম উদ্দিন (৩০) খুন হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জুলাই) রাত ১১টার দিকে শার্শা উপজেলা জিরানগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি পরদিন সকালে জানাজানি হয়।
নিহত জসিম উদ্দিন ঐ গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভাই আব্দুর রউফ, ভাবী লিপি বেগম ও ভাতিজী সাদিয়া খাতুনকে আটক করেছে।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, নিহত জসিম সহজ-সরল ও ভালো ছেলে ছিলো। সে ঐ গ্রামে কৃষি কাজ করতেন। সে ছিল অবিবাহিত। দীর্ঘদিন ধরে বড় ভাই আব্দুর রউফ বিদেশে থাকতো। বাড়ি আসার পর পাকা ঘরবাড়ি করেছে। জসিম বড় ভায়ের সাথে একই বাড়িতে বসবাস করেন। ছোট ভাই জসিম বড় ভাইয়ের কাছ থেকে জমির ভাগ চাইলে দু'ভায়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে আব্দুর রউফ এবং তার স্ত্রী লিপি কে সাথে নিয়ে মধ্যরাতে জসিমকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে জসিম মৃত্যুবরণ করেন। পরদিন সকাল বেলা বিষয়টি জানাজানি হলে তারা বলে বাথরুমে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। নিহত জসিম এর নাকে, মুখে, এবং গলাই অনেকগুলা নোকের আচর দেখা যায়।
স্থানীয় প্রভাশালীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শনিবার বিকালেই লাশ দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড় ভাই আব্দুর রউফ বলেন, গত রাত্রে দোকান থেকে বাড়ি এসে প্রসাব করার জন্য জসিম বাইরে গেলে সেখানে বাঁশের কুঞ্চির উপরে পড়ে যায়। সেখান থেকে নাকে, মুখে এবং গলাই দাগ হয়।
ঐ গ্রামের মেম্বার কেএম হাসান আলী কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুদিন যাবত দুই ভাই এর ভিতর ঝগড়া বিবাদের ঘটনা ঘটে। মৃত জসিম আমার কাছে অভিযোগ টি জানায়। আমি ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে শনিবারে এক জায়গায় বসে মীমাংসা করার কথা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা আর হলো না। অবশেষে শনিবার সকাল হলে শুনতে পায় জসিম মৃত্যু বরণ করেছে।
নাভারন সার্কেল এসপি জুয়েল ইমরান ও শার্শা থানার তদন্ত ওসি তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ৩ জনকে নিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে কোন কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে বলতে পারব।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]