আইপিএলের ম্যাচ চলাকালে স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান খেলাধুলার প্রতি নিজের অগাধ ভালোবাসার কথা বলেন। তিনি উইকেটরক্ষক হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চোট পাওয়ার কারণে শাহরুখ খেলাধুলা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।
এই সাক্ষাৎকারে শাহরুখ বলেছেন, টাকার অভাবে তিনি চোটের চিকিৎসা করাতে পারেননি। তাই ক্রিকেটার হওয়া হয়নি তার।
কিং খান বলেন, সত্যি কথা বলতে গেলে, আমি কখনোই অভিনয়শিল্পী হতে চাইনি। আমি সব সময় খেলোয়াড় হতে চেয়েছি। আর এ কথা আমি সব সময় সততার সঙ্গে বলে এসেছি। আমি সব সময় খেলাধুলাকে ঘিরে কিছু করতে চেয়ে এসেছি।
শাহরুখ খেলাধুলার প্রতি যে কতটা আবেগপ্রবণ, এর ঝলক খেলার মাঠে সব সময় ধরা পড়ে। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে তাকে হরহামেশাই খেলার মাঠে দেখা যায়।
গায়ে কেকেআরের জার্সি, মুখে সাদা মাস্ক—উত্তেজনায় বারবার দাঁড়িয়ে পড়ছিলেন বলিউড সুপারস্টার। পাশে ছিলেন স্ত্রী গৌরী খান। খেলা কিছুদূর গড়ানোর পরই সবাই বুঝে গিয়েছিলেন যে আইপিএলের ট্রফি এবার কেকেআর (কলকাতা নাইট রাইডার্স) দলের হাতে উঠতে চলেছে। তবু যেন অস্থির ছিলেন কেকেআরের মালিক শাহরুখ খান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে পুরোপুরি হারানোর পর উত্তেজনায় লাফিয়ে উঠেছিলেন কিং খান। মেয়ে সুহানা খানকে আবেগে জড়িয়ে ধরেছিলেন তিনি।
আসলে আদ্যোপান্ত ক্রিকেটপ্রেমী শাহরুখ। শুধু নিজের দল নয়, ভারতের ম্যাচের সময়ও একই হাল হয় এই বলিউড সুপারস্টারের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন।
কয় দিন আগেই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আহমেদাবাদের কেডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শাহরুখ। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে কেকেআর বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মধ্যে ম্যাচ ছিল।
তীব্র তাপপ্রবাহকে তোয়াক্কা না করে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে নিজের দলকে উৎসাহ দিতে মাঠে হাজির ছিলেন শাহরুখ। আর এর জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কয় দিন যেতে না যেতেই একই উদ্দীপনা নিয়ে গতকাল কেকেআর বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ফাইনাল ম্যাচে মাঠে হাজির ছিলেন এই তারকা।
শাহরুখকে শেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে ‘ডানকি’ ছবিতে। আগামী দিনে তাকে সুজয় ঘোষের ‘কিং’ ছবিতে দেখা যাবে। এই ক্রাইম-থ্রিলারধর্মী ছবিতে তার সঙ্গে আছেন মেয়ে সুহানা খান।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]