আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ কতৃক শিক্ষক ও ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনের উপর হামলা ও সম্মানহানী করার প্রতিবাদে সোমবার সকালে যশোরের কেশবপুর প্রেসক্লাবে ভুক্তভুগীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও শিক্ষক ফারুক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
শিক্ষক ও ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাল্লুকঘর ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও শিক্ষক ফারুক হোসেন তাকে একই এলাকার মৃত আব্দুল হাই ও সেকেন্দার আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ কর্তৃক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সম্মানহানীসহ সমাজে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে চলেছে।
তিনি বলেন আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের বিভিন্ন অসামাজিক ও অবৈধ ভাবে মাটি কেটে বহনের সময় সরকারি রাস্তা নষ্টের প্রতিবাদ করায় সে ও তার সঙ্গীয়রা তাকে গত ২৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় ভালুকঘর বাজারে তাকে একা পাইয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ওই সময় প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলোপাতাড়ী ভাবে কিল, ঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখন করে। বিষয়টি উল্লেখ করে নিজে বাদী হয়ে গত ২৭ এপ্রিল কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। যার নম্বর: ১২০৮, এতেও তারা থেমে থাকেনি।
গত ২৫ এপ্রিল সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় কেশবপুর বাজারে আমার ঘেরের মাছ বিক্রি করে বাড়িতে ফেরার সময় ভালুকঘর বাজারে পৌঁছালে আদুল্লাহ আল মাহফুজের মাটি ট্রাক্টরের করে বহনের সময় সরকারি রাস্তার ক্ষতি সাধিত হয়ায় স্থানীয় জন প্রতিনিধি হিসেবে ট্রাক্টর চালককে নিষেধ করেন। ট্রাক্টর চালক ওই সংবাদ মাহফুজকে জানালে দ্্রুত গতিতে মটর সাইকেল চালিয়ে এসে আচমকা তার গায়ের উপর উঠিয়ে দেয়। ওই সময় তিনি রাস্তার উপর পড়ে গেলে মাহফুজ লাথি, কিল ও ঘুসি মেরে তার প্যান্টের পকেটে থাকা মাছ বিক্রির ১ লাখ টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বিষয়টি উল্লেখ করে ওই দিনই কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরও বহাল তবিয়তে মাদক বিক্রি, চাঁদাবাজি ও মাটি বিক্রিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আনিত অভিযোগগুলি যথাযথ ভাবে আপনাদের বহুল প্রচারিত জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদ পত্রের প্্রকাশের মাধম্যে প্রশাশনের দৃষ্টি আকর্ষণসহ উক্ত অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান শিক্ষক ও ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনি, আব্দুর রশিদ, জাহিদ হাসান পলাশ, হুমায়ুন কবির ও রবিউল ইসলাম।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]