সাতক্ষীরার কলারোয়ায় করোনার কারণে দীর্ঘদিন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভালো নেই বই ব্যবসায়ীরা।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় গাইড বইয়ের চাহিদাও কম। যে কারণে অবসর সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
কলারোয়া পৌরসদরের বিভিন্ন বইয়ের দোকান ঘুরে হাতেগোনা কিছু সৃজনশীল বই ছাড়া তেমন একটা চোখে পড়েনি।
দোকানের র্যাকগুলো সাজানো আছে কুরআন শরীফ, খাতা, কাগজ ও কলম দিয়ে। ব্যবসায়ীদের চোখে হতাশার ছাপ।
জানা যায়, উপজেলায় ছোটবড় ২১টি লাইব্রেরি আছে। এর মধ্যে পৌর সদরে ৮টি, উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নের বড় বাজারগুলোতে আছে বাকী লাইব্রয়ারী ১৩টি। উপজেলার সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকান হলো বিদ্যাবিপনী ও বই বিতান লাইব্রেরী। এর মালকি সাইফুল ইসলাম বাবু ও উপজেলা বই ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রজিবুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিক্রি কম। কোনোমতে দিন চলে যাচ্ছে। শুধু ব্যবসা ধরে রাখতে দোকান চালু রাখতে হয়েছে।
খোরদো বাংলাদেশ বুক হাউজের মালিক রতন বলেন, এক সময় জমজমাট ছিল বইয়ের দোকানগুলো। সকাল ৯টায় দোকানে এসে বাসায় ফিরতাম রাত ১০টায়। এখন ১০টা থেকে ৭টা দোকান খোলা রাখছি। তাও বেশিরভাগ সময়ই বসে থাকতে হচ্ছে। টিকে থাকাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
বিসমিল্লাহ লাইব্ররী মালিক আব্দুর রশিদ জানান, বাড়িতে সময় কাটছে না। তাই দোকান খুলে বসে আছি। বেচা-বিক্রি একদম নেই। দু-একজন আসছে বিভিন্ন পোস্টার কাগজ কলম ও বিভিন্ন কিতাবে বই। এতে দিন হাজিরা তো দূরের কথা বিদ্যুৎ বিলের টাকাও উঠছে না।
সাতক্ষীরা জেলা পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবু জানান, আমাদের ব্যবসা মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রে করে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে লাইব্রেরি ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। ছোটখাটো বইয়ের দোকান ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। লাইব্রেরীতে কাজ করা কর্মচারিরাও পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, যদি আল্লাহ রহমতে ভাইরাসের প্রাদূভাব কেটে যায় তাহলে কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্র/ছাত্রীদের কাছে কিছু বই বিক্রি হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]