চলমান মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা না হওয়ায় ফরম পূরণের আংশিক টাকা ফেরত পাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) থেকে টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হয়েছে।
গতকাল সোমবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ জমাকৃত অর্থের চেক বোর্ডের হিসাব শাখা (১নং ভবনের ৩ তলা, কক্ষ নং-২০৮) থেকে বিতরণ করা হবে। শুধু সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজে অথবা তার প্রাধিকারপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষককে (স্বাক্ষর সত্যায়িতসহ) কেন্দ্রের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওই চেক অফিস চলাকালে গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হলে আবেদনপত্রে গভর্নিং বডির সভাপতি বা জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিস্বাক্ষর থাকতে হবে। চেক গ্রহণের পর তাতে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সাত কর্মদিবসের মধ্যে হিসাব শাখা থেকে সংশোধন করে নিতে হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তথ্যমতে, বিজ্ঞান বিভাগের নিয়মিত একজন শিক্ষার্থী সর্বমোট এক হাজার ৬৫ টাকা ফেরত পাবেন। এর মধ্যে শিক্ষাবোর্ড দেবে ৪৮০ টাকা, কেন্দ্র দেবে ২২৫ টাকা। আট বিষয়ের ব্যবহারিকে ৪৫ টাকা করে মোট ৩৬০ টাকা। মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা শাখায় একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী পাবেন মোট ৬২৫ টাকা।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি করোনা মহামারির কারণে বাতিল হওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য নেওয়া ফি ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমির উল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ আদেশে বলা হয়, শিক্ষা বোর্ডগুলো আদায় করা এ অর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ ফি শিক্ষার্থীদের ফেরত দিতে হবে।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, ফরম পূরণ করা পরীক্ষার্থীদের, প্রতি পত্রের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ফি থেকে ৩০ টাকা করে এবং শিক্ষা বোর্ড থেকে ব্যবহারিক প্রতি বিষয়ের ক্ষেত্রে ১০ টাকা ফেরত দিতে হবে। একই সঙ্গে পরীক্ষার্থী প্রতি ২০০ টাকা করে এবং আইসিটিবিষয়ক পরীক্ষার্থীদের আরও ২৫ টাকা ফেরত দিতে হবে।
এ ছাড়া আইসিটি বিষয় ছাড়া অন্যান্য ব্যবহারিক বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রতি পত্রের জন্য অতিরিক্ত অরও ৪৫ টাকা করে ফেরত দিতে হবে। কেন্দ্র ফি হিসেবে ব্যয় না হওয়া অর্থ প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করবে শিক্ষার্থীরা।
আদেশে আরও বলা হয়, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী প্রতি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে ১৬০ টাকা হারে দিতে হবে। এ অর্থ পরীক্ষার গোপনীয় কাগজ পরিবহন ও বোর্ডে জমাদান, সংরক্ষণ ও প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ করা হবে বলে জানানো হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]