গত ৩০ জুন তুরস্কের কায়সারিতে এক সিরিয়ান নাগরিকের বিরুদ্ধে শিশুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা। অভিযোগের পর বিক্ষুব্ধ জনতা জড়ো হয়ে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করার জন্য তীব্র আন্দোলন করছে।
শিশু নির্যাতনের জের ধরে এসময় রাস্তায় বেশ কিছু যানবাহন উল্টিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু সিরিয়ান মালিকানাধীন দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির এক সমাবেশে গিয়ে শিশু নির্যাতন নিয়ে এরদোগান বলেন, ‘সমাজে জেনোফোবিয়া নিয়ে কেউ কোথাও যেতে পারে না। রাস্তায় ভাঙচুর, আগুন দেওয়া অগ্রহণযোগ্য। গতকাল কায়সারিতে একটি ছোট গোষ্ঠীর দ্বারা সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণ বিরোধীদের বিষাক্ত বক্তৃতা... রাজনৈতিক লাভের জন্য ঘৃণামূলক বক্তব্যের আশ্রয় নেওয়া নিন্দনীয়।’ এ ব্যাপারে এরদোগান সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠার উপর জোর দিয়েছেন।
শিশু নির্যাতনের ঘটনায়, স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করলে কায়সারির গভর্নর গকমেন সিসেক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে এসময় আন্দোলনকারীরা মারমুখি হলে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে খবর রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ও সামাজিক মিডিয়ায় উস্কানি সন্দেহে এখন পর্যন্ত ৬৭ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]