শৃঙ্খলা ফেরাতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রশাসক নিয়োগ করার আহবান


সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব কমিটি পাল্টা কমিটির বিরুদ্ধে সমাজসেবা আইনের ৯ ও ১০ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ সংগঠনের পেশাদার সদস্য সাংবাদিকরা। এদিকে সংগঠনের শৃঙ্খলা ফেরাতে ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’ এ প্রশাসক নিয়োগ করার আহবান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রত্যাশা করেন বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রাক্তন সাংবাদিক এবং সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন ও প্রাক্তন সদস্যরা।
জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত নিয়মে পরিচালনার লক্ষ্যে তৎকালীন কার্যনির্বাহী কমিটি ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’ নামীয় লাইন্সেস গ্রহণ করেছিলেন। যার লাইন্সেস নং-সাত-১১২৫/২০১১। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেই সংগঠনের কয়েকজন সদস্যরা ঐক্যমতের ভিক্তিতে দৈনিক যুগের বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক আবু নাসের মোঃ আবু সাঈদকে সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার আব্দুল বারীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটিকে অনাস্থ জানিয়ে এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন বিগতদিনে জেলা প্রশাসকের কাছে জমাও দিয়েছিলেন কতিপয় সাংবাদিকরা। উক্ত বিষয়ে সমাধান না হওয়ায় সম্প্রতি ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’ ঘিরে সাংবাদিকরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এতে সংগঠনের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার সৃষ্ট বিভেদ নতুন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত। ফলে আবুল কাশেমকে সভাপতি ও মোঃ আসাদুজ্জামানকে সম্পাদক করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নামে আরও একটি কমিটি গঠিত হয়। এরই জেরে সকল পেশাদার-অপেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজমান। সেটিকে পুঁজি করে উভয় গ্রুপের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ নতুন নতুন পত্রিকার পেশাদার-অপেশাদার সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবে সদস্যপদ প্রদান করেছেন। এরমধ্যে কাশেম-আসাদ গ্রুপে ৭৫ জন ও আবু সাঈদ-আব্দুল বারী গ্রুপে ৪৫ জন রয়েছে বলে গুঞ্জন প্রকাশ। তবে ২০২১ সালের ৬ মার্চ পরবর্তী সংগঠনের নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করেতে ব্যর্থ পৃথক পৃথক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
আরও জানা গেছে, ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারী সংগঠনের বাপী-সুজন কমিটি পরিষদের এক সভায় নতুন ১৩জনকে সদস্য পদ প্রদান করেন। তাদেরকে সংগঠনের সম্পাদক স্বাক্ষরিত সদস্যপদ প্রদানের চিঠিও দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১০ জনের সসদস্যপদ পরে একটি সভা করে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন ওই পরিষদ নেতৃবৃৃন্দ। তাই নতুন সদস্যপদ প্রদানের পর কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে কাজী নাসির উদ্দীন দিং বাদী হয়ে আব্দুল গফুর সরদার দিং কে বিবাদী করে সিনিয়র সহকারী জজ, সাতক্ষীরা সদর, সাতক্ষীরা আদালতে একটি দায়ের করেন। যার নং-দেওয়ীনী-২০৩/২২। ওই মামলা বাদীপক্ষ রায় পেয়েছিলো। সেই সময়ে ঐ রায়ের বিরুদ্ধে খন্দকার আনিছুর রহমান সহ অন্য একজন বাদী হয়ে কাজী নাসির উদ্দীন সহ অন্য ২ জনকে বিবাদী করে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি আপিল মামলা দায়ের করেন। যার নং-মিস আপিল-২৯/২০২২। সেই মামলায়ও বিবাদীপক্ষ রায় পেয়েছিলো। তবে তা ভায়োলেট করে ঐ ১০জনকে সদস্যপদ না দিয়ে সংগঠনের তৎকালীন সভাপতি মোমতাজ আহমেদ বাপী বাদী হয়ে কাজ নাসির উদ্দীনসহ ২জনকে বিবাদী করে উচ্চ আদালতের সিভি ডিভিশনে একটি আবেদন করেন। যার নং-৩৪১৭/২০২২। সেই আবেদন শুনানীন্তে বিচারক নিম্ম আদালতকে ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও উপরিউক্ত ঘটনায় আদালতের মামলা বিচারাধীন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১১ সালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠনের তথ্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায়নি। তবে, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যেমন, সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর একজন প্রভাবশালী রাজনীতিক প্রেসক্লাবের কমিটি নিয়ে তার ব্যক্তিগত পছন্দ অপন্দের বিষয়টি সামনে এনে সাংবাদিকদের মধ্যে তার পক্ষে একটি গ্রæপ সৃষ্টি করতে তৎপর হয়েছিলেন। ফলে বাইরের কোন প্রভাব ছাড়াই যাতে প্রেসক্লাব পরিচালিত হতে পারে সে জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনে (গত ইং ২৬/০১/১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত) প্রেসক্লাবের সকল পক্ষ ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রতিদ্ব›িদ্বতা ছাড়াই একটি প্যানেল জেলা প্রশাসক নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে সক্ষম হন। ফলে গঠিত হয় ঐক্যমতের কমিটি। নতুন এই কমিটি গঠনের পর ঐ প্রভাবশালী রাজনীতিক শুরু করেন নতুন ষড়যন্ত্র।
এরপূর্ব পর্যন্ত গত ১০ বছরের প্রতি বছর নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সংগঠনটির এক বছর মেয়াদী পরিচালনা কমিটি গঠন করা হতো। জেলা প্রশাসক নিযুক্ত নির্বাচন কমিশন সংগঠনটির বার্ষিক নির্বাচন পরিচালনা করে থাকতো। এই নির্বাচন হতো উৎসবমূখর। প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হতো এই নির্বাচনকে ঘিরে।
তবে ১৯৭৩ সালের পর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ৩০ জুন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্বের বিরোধ নিয়ে সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার প্রথম রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। পরবর্তীতে গত ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় ৬ ফ্রেব্রæয়ারী ২০২০ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচনী তপশীল ঘোষণা করা হয়। এলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠনও করা হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের মনোনয়ন পত্র বিক্রির পূর্বেই ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারী দৈনিক দৃষ্টিপাতের সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোজাফ্ফর রহমানের নেতৃত্ব সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব দখল করা হয়। এর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ আবু আহমেদসহ অন্যান্যরা বাদী হয়ে গত ৩ ফেব্রæয়ারি ২০২০ তারিখ সাতক্ষীরা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী ২৩/২০২০ মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় বাদী পক্ষের নিষেধাজ্ঞার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই রায় প্রদান করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশক্রমে তৎকালীন পুলিশ সুপারের নেতৃত্বাধীন একটি বিশেষ কমিটি সংগঠনের সদস্য হালনাগাদপূর্বক ১০৪ জনকে সাধারণ সদস্য ও ১৫জনকে সহযোগী সদস্য করে ২০২১ সালের ৬ মার্চ নির্বাচনের দিন ধার্য্য করেন। নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি মোমতাজ আহমেদ বাপী ও সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন নির্বাচিত হয়। ঐ কমিটির নেতৃবৃন্দ গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ৩ জন সাধারণ সদস্য ও ১ জন সহযোগী সদস্যের সদস্যপদ বাতিল এবং ১৪ জন সহযোগী সদস্যের সদস্য পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনের ১৩ জন সাবেক সভাপতি, সম্পাদক ও স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ১২ সেপ্টেম্বর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজনের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সন্তোষ কুমার জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে সংগঠনটি নিবন্ধিত। বিগত কয়েক বছর সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হালনাগাদ কমিটি অনুমোদন না করেই সমাজসেবা আইনের ৯ ও ১০ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। তবে কিছু সীমাবদ্ধতার জন্য আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারিনি আমরা।
এ ব্যাপারে তৎকালীন দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার প্রতিনিধি পল্টু বাসার জানান, প্রেসক্লাবের নেতৃত্বের বিরোধের জেরে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত। আগে যখন সাধারণ মানুষ প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার পেতেন না তারা প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের বলতেন। এ নিয়ে রিপোর্ট হওয়ার পর ব্যবস্থাও হতো। এখন একজন বিপদে পড়ে কোথায় যাবেন? প্রেসক্লাবের কোন গ্রপের সাংবাদিকদের কাছে যাবেন? প্রেসক্লাবের এক গ্রুপের কাছে গেলে আরেক গ্রুপের সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হন। ফলে সাধারণ মানুষ আসলেই বিপদে পড়েন। এতে প্রেসক্লাব নেতৃত্বের বিরোধ পেশাদার সাংবাদিকদের সম্মান ক্ষুণœ করছে। এমতাবস্থায় উক্ত ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’ নাম সংগঠনকে গতিশীল করতে প্রশাসক নিয়োগ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। সেজন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে আইন মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন জেলায় একাধিক প্রেসক্লাব থাকলেও ১৯৬৯ সালে আমাদের অগ্রজ সাংবাদিকরা পেশাদার সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ করতে ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’ নামক সাংবাদিক সংগঠন করে তুলেছিলেন। ঐ সংগঠনে বিগত দিনে সদস্য ছিলাম। আমার মতো অনেকেও সদস্য ছিলেন। তবে ১৯৯৮ সালের পর ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’ এর নেতৃত্বের বিরোধ প্রকাশ্যে রুপ নিতে থাকে। শুরু হয় সংগঠনের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার গ্রæপের বিভাজন। ফলে এরপূর্বে ও পরে যারা সংগঠনের নেতৃত্বে এবং সদস্য ছিলেন তাদেরকে ইচ্ছেমতো বাদ দিয়েছিলো কতিপয় সাংবাদিকরা। তারা বিগতদিনে প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার ছড়ি ঘুরিয়েছিলো। এখনও তারাই সংগঠনের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার দ্ব›দ্ব সৃষ্টি করছে। তাদের চিহ্নিতপূর্বক আইনের আওতায় আনা জরুরী হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় ৫১ ভাগের অধিক সদস্যদের উপস্থিতিতে ও সর্বসম্মতিক্রমে এক বছর মেয়াদি আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়।
তবে আদালতের মামলা চলমান থাকায় কিভাবে এই কমিটিকে বৈধ বলছেন এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি তিনি।
অপরদিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের একাংশের সভাপতি আবুল কাশেম জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলা অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের এক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আমাদের কমিটি গঠিত হয়েছে। গঠিত এই কমিটিকে বৈধ ঘোষণা আখ্যায়িত করেছেন তৎকালীন সভাপতি মোমতাজ আহমেদ বাপী।
তবে আদালতের মামলা চলমান থাকায় কিভাবে এই কমিটিকে বৈধ ঘোষণা করলেন এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি তিনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরায় স্কুল শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির র্যালি
শাহ জাহান আলী মিটন : সাতক্ষীরা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলাবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন
হাফিজুল ইসলাম : “অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি” এই প্রতিপাদ্যেবিস্তারিত পড়ুন