প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর চাপ বেড়েছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যা করা দরকার, অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছু করছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য তাকে (শেখ হাসিনা) দেশে এনে বিচার করা। কিছুদিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে কী ধরনের অপরাধ তিনি করেছেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে তারা।’
তিনি আরও বলেন, এটা খুবই বড় ও ভয়ংকর রকমের অপরাধ। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এই রিপোর্ট ও অন্যান্য কিছু মানবাধিকার বিষয়ক রিপোর্টের পর প্রচুর চাপ তৈরি হয়েছে। এর একটা ইঙ্গিত আছে ইন্ডিয়া টুডে'র একটা জরিপে। সেখানে দেখা গেছে ৫৫ শতাংশ চান তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক। আবার একটা অংশ চান তাকে অন্য কোনো দেশে পাঠানো হোক। মাত্র অল্প একটা অংশ চাচ্ছে যে তিনি ভারতে থাকুক।
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গ্লোবালি বাংলাদেশের সুনাম অর্জনে কাজ করছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে তলানিতে থাকা সম্পর্কের উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ, বিনিয়োগসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটেছে।
আওয়ামী লীগ আমলে নানা কারণেই সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, বাহারাইনসহ অনেক দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক ভালো ছিল না উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে চায়।
আইসিটি খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দেশ থেকে প্রতিবছর ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। মোট পাচারের পরিমাণ ২৩৪ বিলিয়ন ডলার। আইসিটি এবং ডিজিটালাইজেশন নিয়ে কী ধরনের দুর্নীতি হয়েছে, তা তদন্তে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হবে। যারা দু-মাসের মধ্যে শ্বেতপত্র দেবে।
স্বাধীন সাংবাদিকতা নিয়ে কমিটি টু প্রটেস্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)-এর প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রেস সচিব বলেন, ৫৩ বছরে সর্বোচ্চ স্বাধীনভাবে কাজ করছে সাংবাদিকরা।
সিপিজে-কে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানান প্রেস সচিব।
আওয়ামী লীগের খুনি-দুর্নীতিবাজদের বিচারের পর তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে জনগণ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করে শফিকুল আলম।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]