কলারোয়ায় আওয়ামী লীগের আয়োজনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে ও আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ীবহরে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি’র বর্বোচিত হামলার প্রতিবাদে ’১৯ বছর’ পূর্তিতে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে সোমবার (৩০ আগস্ট-২১) বিকালে পৌরসভা মিলনায়তনে ওই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সহ- সভাপতি সাবেক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক আবু আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফিরোজ কামাল শুভ্র, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেজুতি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামীমা অক্তার রত্না, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার সুব্রত ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক আফছার আলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এসএম আরাফাত হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সুমন হোসেন,তাঁতিলীগ নেতা আলমগীর হোসেন। উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল আলম মল্লিক রবির পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল,সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির হোসেন হেলাল, উপজেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান ছামসুদ্দীন আল মাসুদ বাবু,আ’লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, আ’লীগ নেতা কপাই সভাপতি শহিদুল ইসলাম, আ’লীগ নেতা পাবলিক ইনস্টিটিউটের সাধারন সম্পাদক এ্যাড: শেখ কামাল রেজা, পৌর আ’লীগ নেতা সহিদুল ইসলাম, আ’লীগ নেতা সাংবাদিক আব্দুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান মুন্না, আ’লীগ নেতা সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম লিটন, ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা মাস্টার আজিজুর রহমান, মাস্টার হাফিজুর রহমান, মফিজুল ইসলাম, আনছার আলী, মহিলা আ’লীগ নেত্রী রহিমা বেগম কাজল, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা আব্দুস সালাম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফাহিম হোসেন ফাহিমসহ আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ। সমাবেশ পূর্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সভায় বক্তারা, ২০০২ সালের এই দিনে(৩০আগস্ট) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা থেকে যশোর যাওয়ার পথে কলারোয়ায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন। এতে তিনি অক্ষত থাকলেও তার ব্যাবহৃত গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হন তার সফরসঙ্গীরা। এ ঘটনার পর কলারোয়া থানায় মামলা রেকর্ড না হওয়ায় আদালতে মামলা করেন কলারোয়া উপজেলা যুদ্ধকালিন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার প্রয়াত মোসলেমউদ্দিন। কিছুদিন পর সে মামলাও খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে এক যুগ পর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। এ সংক্রান্ত ৩টি মামলায় পুলিশ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়।
বক্তারা আরও বলেন, ২০০২ সালের ২৬ আগস্ট কলারোয়ার হিজলদি গ্রামের আ.লীগের এক নেত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়ে সাতক্ষীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা খুলনা সফরকালে এ খবর পেয়ে তাকে দেখতে সাতক্ষীরা আসেন। নির্যাতিত ওই নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে শেখ হাসিনা হাসপাতাল মোড়ে দাঁড়িয়ে এক পথসভায় সরকারের সমালোচনা করেন। এরপরই তিনি যশোর-সাতক্ষীরা ভায়া কলারোয়া মহাসড়ক পথে যশোরের উদ্দেশে সাতক্ষীরা ত্যাগ করেন। পথিমধ্যে কলারোয়ায় এই দিনে(৩০ আগস্ট) বিএনপি’র করা বর্বোচিত গাড়িবহরে গুলি ও বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও আসামীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবী জানান। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিভিন্ন ধারায় অপরাধী কয়েকজন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীরা ছাড়া বাকী সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা কারাগারে বন্দী জীবন যাপন করছেন বলে জানা যায়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]