প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে মর্মে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দ আশা ব্যক্ত করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ২৮ সেপ্টেম্বর-২০২১ খ্রী: মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জহির উদ্দীন মবু'র সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আল মাহমুদ পলাশের সঞ্চালনায় "প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়কে বাংলাদেশ শীর্ষক" আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল এর চেয়ারম্যান বিচাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এম ফারুক, বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর আযাদ, মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়নেত্রী বেবি বড়ুয়া।
বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিয়াম সদস্য কৃষিবিদ জামাল আহমেদ, যুগ্নসাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন বাচ্চু, আইন সম্পাদক এড.ফেরদৌসি বেগম, যুগ্নসম্পাদক মাসুদা আক্তার, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি আবু জাহিদ সাদিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিন সভাপতি মোঃ আলামিন খন্দকার, জাতীয় কমিটির সদস্য কবি ডলিয়া চৌধুরী প্রমুখ। দোয়া ও কোরআন তেলয়াত করেন কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওঃ শফিউল কাজি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক বাউল মতিন দেওয়ান।
বক্তারা বলেন, জাতির জনক কন্যা হওয়া সত্ত্বেও তার জীবন কখনো মসৃণ ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তুক রাতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য শাহাদাত বরণ করেন। সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যান। বাবা, মা, ভাই ও অন্যান্যদের হারিয়ে তারা দিল্লি ও লন্ডনে ৬ বছর খুবই দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে প্রবাস জীবন-যাপন করেন।
শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বহু বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ প্রবাস জীবন থেকে তিনি দেশে ফিরে আসেন। মাতৃভূমিতে ফিরে এসে শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্রের বিজয় সূচিত হয়।
১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজয় লাভ করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। সরকার গঠনের পর প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি এবং গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে তার নেতৃত্বে ১৪ দল ক্ষমতায় আসে এবং জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই মেয়াদে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়।
বক্তরা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসে। এই মেয়াদে যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় এবং ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের স্থল সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন জোট বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার ক্ষমতায় আসে এবং ইতিহাস সৃষ্টি করে। এ নিয়ে শেখ হাসিনা পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]