সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে ২৫ জনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলমের শ্বশুর। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন।
এরপর শ্বশুরের অতিরিক্ত বিচারপতি হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সারজিস আলম। তিনি লিখেছেন, আমি যতদূর জানি আমার নিকটাত্মীয় ১৯৯১-৯২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ভর্তি পরীক্ষার মার্কসে তিনি ১ম স্থান অধিকার করেন। এসএসসি এবং এইচএসসির রেজাল্টসহ প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সেই সেশনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় খ ইউনিটে ১৯তম স্থান অর্জন করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। আইন বিভাগ থেকে এলএলবি ও এলএলএম শেষ করে ১৯৯৮ সালে তিনি বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি লেখেন, ২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগ উভয় বিভাগে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের পূর্ব থেকেই তিনি বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
সারজিসের দাবি, তার শ্বশুরের শতাধিক জুনিয়র সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতে আইন পেশায় প্রতিষ্ঠিত। তাছাড়া তিনি নবগঠিত ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ কর্তৃক সব যোগ্যতার শর্ত পূরণ করে যাবতীয় বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়ে এই সম্মান অর্জন করেছেন।
সারজিস আক্ষেপ করে লেখেন, এখানে তার এই যোগ্যতা ও পরিশ্রমকে একপাশে রেখে আমার নাম টেনে নিয়ে আসা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]