সাতক্ষীরা শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে আড়াই হাজার মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে প্লাবিত হয়েছে। এ সময়ে উপজেলার ১২টা ইউনিয়ন ব্যাপি ঝড়ের প্রভাবে ৪ হাজার ৮শত কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে।
শ্যামনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কান্তি মজুমদার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় বিভিন্ন নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৭/৮ ফুট বৃদ্ধি পায়। এতে উপকূল রক্ষিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেঁড়িবাধ ভেঙে ও উপচিয়ে লোনা পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে।
এ সমেয় ১২ টি ইউনিয়নের বিশেষ করে উপকূলীয় গাবুর, পদ্মপুকুর, মুন্সিগঞ্জ, কৈখালী ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আড়াই হাজার মৎস্য ঘের সম্পূর্ণ তলিয়ে একাকার হয়ে যায়। এতে ৫ কোটি টাকার চিংড়ী সহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ পানিতে ভেসে যায়।
অপরদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শাহিনুর ইসলাম জানান, ঝড়ো হাওয়ায় ১২টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৮ শত কাচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তার মধ্যে ২৬৫টি কাচা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধস্ত হয় এবং ৪হাজার ৫শত কাচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি আংশিক বিধস্ত হয়। ৫০ হাজার ৮শত মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম এ হাসান বলেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতায় ৫টি বন ষ্টেশন অফিস ও ১২টি টহল ফাড়িতে নির্মিত মিষ্টি পানির পুকুর লোনা পানিতে তলিয়ে একাকার হয়ে গেছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ ন ম আবুজার গিফারী বলেন, ১২টি ইউনিয়ন ব্যাপি নগদ আড়াই লক্ষ টাকা এবং ১ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সরকারী সাহায্যে অব্যাহত থাকবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]