
নবপল্লব প্রকল্পের আওতায় মাছচাষীদের মাঝে জৈব সার ও মাছের খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর মধ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগর অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। এই অঞ্চলের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত জীবিকার অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে British High Commission–এর আর্থিক সহায়তায় এবং CARE Bangladesh-এর কনসোর্টিয়াম পার্টনার হিসেবে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা Cordaid বাস্তবায়ন করছে “নবপল্লব প্রকল্প”, যার লক্ষ্য জলবায়ু সহনশীল টেকসই জীবিকার মাধ্যমে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা।
এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ১২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে শ্যামনগর উপজেলায় “নবপল্লব প্রকল্প”-এর আওতায় নির্বাচিত অ্যাকুয়াকালচার (মাছচাষ) গ্রুপের সদস্যদের মাঝে ২০ কেজি জৈব সার ও ২৫ কেজি করে মাছের খাদ্য বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসেন। তিনি উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে এই সহায়তা তুলে দেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ৯০০ জন দরিদ্র পরিবারগুলোকে এই সহায়তা প্রদান করা হবে।
প্রধান অতিথি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বলেন, “Cordaid-এর নবপল্লব প্রকল্পের এই উদ্যোগ উপকূলীয় অঞ্চলের মাছচাষীদের জন্য অত্যন্ত সময়োপযোগী। জৈব সার ও মানসম্মত মাছের খাদ্য ব্যবহারের ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং পুকুরের পানির মান উন্নত হবে, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।”
Cordaid-এর নবপল্লব প্রকল্পের কর্মকর্তা জাকারিয়া রায়হান বলেন, “আমরা শুধু উপকরণ বিতরণ করছি না, বরং মাছচাষীদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তাদেরকে টেকসই জীবিকার পথে এগিয়ে নিচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এই অঞ্চলে টেকসই মাছচাষ একটি কার্যকর বিকল্প জীবিকার মাধ্যম হতে পারে।”
অনুষ্ঠানে নবপল্লব প্রকল্পের কর্মকর্তা, মাঠকর্মী এবং উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। সহায়তা পেয়ে উপকারভোগীরা আনন্দ প্রকাশ করেন এবং জানান, এই সহায়তা তাদের জীবিকায় নতুন গতি আনবে ও আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করবে।
Cordaid-এর নবপল্লব প্রকল্প বর্তমানে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষি, গবাদিপশু পালন, অ্যাকুয়াকালচার, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন, ক্ষুদ্র ব্যবসা সহায়তা ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]