(৪ ডিসেম্বর) সোমবার সকাল ১১ টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের বাস্তবায়নে এবং জার্মান দাতা সংস্থা ”ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ডের” আর্থিক সহযোগিতায় “জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের জীবন-জীবিকা নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রম” প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় এলাকায় অভিযোজিত কৃষি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে লিডার্স এর প্রধান কার্যালয়ে ১৩৯২ জন কৃষকের মাঝে লবণ ও খরা সহনশীল ৪৯৪০ কেজি ধানবীজ, ১৩৯২০ কেজি জৈবসার ও সবজিবীজ বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ নাজমুল হুদা। লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব রনজিৎ কুমার বর্মনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিনি তার শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে উপস্থিত সকলকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি প্রদানকৃত বীজের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।
সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ৭ নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব অসীম কুমার মৃধা, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার জনাব মোঃ মাসুম বিল্লাহ,উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা জনাব সুরঞ্জন শেখর মণ্ডল। লিডার্সের কর্মকর্তা জয়দেব জোদ্দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন লিডার্সের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মুন্সিগঞ্জ ও ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের উপকারভোগীগণ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাব মোঃ নাজমুল হুদা তার বক্তব্যে বলেন যে কৃষি যত প্রযুক্তি নির্ভর হবে কৃষিতে উন্নয়ন তত সম্প্রসারিত হবে। তিনি ধানের পাশাপাশি বেশি করে সবজি উৎপাদন ও প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে শাক সবজি একটু বেশি পরিমাণে রাখার পরামর্শ দেন। বর্তমান সময়োপযোগী লবন ও খরা সহনশীল ধানের জাত নির্ধারন ও সরকারের পাশাপাশি কৃষি খাতে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি লিডার্সকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
জনাব অসীম কুমার মৃধা তার বক্তব্যে বলেন যে, লিডার্স মূলত কৃষি,পানি এবং বিভিন্ন জলবায়ু সংকট এই ৩টি বিষয়ে এই এলাকাতে কাজ করে। এছাড়া কৃষকদের ন্যায্য মুজু্রি নিয়েও কাজ করে আসছে। লিডার্সের এইসব কাজের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মানুষ অধিক উপকৃত হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি লিডার্সের সকল উন্নয়নমূলক কাজের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে লিডার্সের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি কামনা করেন।
উল্লেখ্য জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্যোগ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং দুর্যোগ সহনশীল কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে এবং কৃষকদের বোরো মৌসুমে লবণ ও খরা সহনশীল ধান চাষে আগ্রহী করণের লক্ষ্যে শ্যামনগর ও কয়রার পাঁচটি ইউনিয়নে ৪৯৪ জন উপকারভোগী প্রত্যেক কৃষকের মাঝে ১০ কেজি খরা ও লবণ সহনশীল ধান বীজ (বঙ্গবন্ধু-১০০, ব্রি-৬৭ ও বিনা-১০) ও ৮৯৮ জন কৃষকের মাঝে সবজি বীজ এবং প্রত্যেকের মাঝে ১০ কেজি করে জৈব সার বিতরণ করা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]