শ্যামনগর উপজেলার উপকূল অঞ্চলের সিমান্ত এলাকার লোকালয় নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কোষ্ট গার্ড কৈখালী পশ্চিম জোনের কয়েকজন পোশাকধারী সদস্যর লাঠির আঘাতে আহত হয়ে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত (২৩ জুন) ২০২২ বুধবার রাত আনুমানিক ৩টার সময় শ্যামগরের রমজাননগর ইউনিয়নের মাদার নদীতে। আহত জেলেরা হচ্ছে শ্যামনগরের কালিঞ্চী গ্রামের মৃত ইউছুফ মোল্যার স্ত্রী ফরিদা, দাউদ গাজীর ছেলে জহুর আলী ও মনিরউদ্দীন গাজীর ছেলে মোশারফ ।
আহত জেলে ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বুধবার রাত আনুমানিক ৩টার সময় এই জেলেরা পেটের দায়ে নদীতে মাছ ধরতে যায়। এ সময় কোস্ট গার্ডের বোর্ড যোগে কয়েকজন কোস্টগার্ড সদস্য আহত এই জেলেদের নৌকা পাশে এসে তাদের অশ্লীল ভাষায় গালি গালাচ করে এবং সুন্দরবনের গরান কাঠের লাঠি দিয়ে আঘাত করে । এ সময় কোস্টগার্ড সদস্যদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জহুর আলী নামের একজন জেলে কোস্টগার্ডের সদস্যের পায়ে ধরতে গেলে তাকে জুতা পায়ে বুকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয় ৷ জেলেদের মারপিট করে কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের জাল তুলে নিয়ে চলে যায়। আহত ফরিদা বলেন, তার স্বামী মারা যাওয়ার পরে তিনি ৪ জন নাবালক সন্তান এর মুখে ভাত তুলে দিতে নদীতে মাছ ধরা ছাড়া তার আর কোন উপায় নেই। জহুর আলী ও মোশারফ পরিবার নিয়ে নদীর চরে বসবাস করেন পরিবারের সদস্যদের মুখে ভাত তুলে দিতে নদীতে মাছ ধরা ছাড়া তাদেরও কোন উপায় নেই। ঘটনার বিষয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সিসি এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই অপারেশনে তিনি ছিলেন না ৷ তবে কোস্টগার্ড সদস্যরা কোন জেলেকে আঘাত করতে পারে না বলে জানান ৷
ঘটনার বিষয়ে রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন বলেন, আহত জেলেরা তার কাছে ঘটনাটি জানিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা প্রশাসনের কাছ থেকে কেউ আশা করেনা। তিনি বিষয়টি উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় উপস্থাপন করে তদন্ত চাইবেন। শ্যামনগরের এই এলাকায় পাশাপাশি ফরেস্ট, বিজিবি, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড পাশাপাশি অফিস কিন্তু গরানের লাঠি হাতে জেলেদের উপর আক্রমন করতে আগে কখনও কেউ দেখিনি ৷
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]